ইন্দিরা গাঁধী
স্বীকারোক্তি এল ৪২ বছর পরে! সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারিও।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে ‘দেশের কাছে কালো রাত’ বলে এ দিন কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা আসরে নেমে কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বীকার করলেন, সে দিনের ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। একই সঙ্গে দলের তোপ, মোদীর জমানায় দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ চলছে।
বস্তুত মোদী জমানার ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ নিয়ে বিরোধীরা বহু দিন ধরেই সরব। সম্প্রতি এনডিটিভি দফতরে সিবিআই হানার পরে সংবাদমাধ্যমের একাংশও মোদী সরকারের আচরণকে ‘জরুরি অবস্থা’র সঙ্গে তুলনা করেছে।
২০০৬ সালে সনিয়া গাঁধী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘উনি (ইন্দিরা গাঁধী) নিজেই ১৯৭৭ সালে নির্বাচন ঘোষণা করেছিলেন। এটা থেকেই স্পষ্ট যে উনি জরুরি অবস্থা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করেছেন। তিনি মনে করেছিলেন যে, ওটা একটা ভুল ছিল।’’ পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসেরও অনেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে জরুরি অবস্থাকে ‘ভুল’ বলেছেন। আর আজ অপেক্ষাকৃত কম ওজনদার মুখপাত্র টম বড়ক্কনের মাধ্যমে হলেও দলগত ভাবে এআইসিসি মঞ্চ থেকে বলা হল, জরুরি অবস্থা ভুল ছিল।
আরও পড়ুন:ট্রাম্প-সাক্ষাতে দাউদ নিয়েও কথা চান মোদী
এ দিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার কালো অধ্যায় বারবার স্মরণ করা উচিত। গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করা হয়েছিল। বিরোধী স্বর ধামাচাপা দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল।
টম বলেন, ‘‘আমরা স্বীকার করি, জরুরি অবস্থা ভুল ছিল। আমরা সেই ভুল থেকে শিক্ষাও নিয়েছি। কিন্তু ইতিহাসের সেই ভুল থেকে তিনি (মোদী) শিক্ষা নেননি, সেটিও মনে করাতে চাই। এই মুহূর্তে আমরা এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার মুখোমুখি।’’ কংগ্রেসের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘আজকাল যারা হাল্কা চালে অঘোষিত জরুরি অবস্থার কথা বলে, তারা হয় সেই সময় তাকে সমর্থন করেছিল, নয়তো প্রতিবাদেই নামেনি।’’