এইচ ডি কুমারস্বামী। ছবি: পিটিআই।
সংঘাত নয়। সমঝাতা। বিজেপি যাতে আক্রমণের সুযোগ না পায়, সে দিকে তাকিয়ে কর্নাটকের সরকার গঠন নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে কংগ্রেস ও জেডি(এস)। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে, মন্ত্রিসভা হবে ৩৩ জনের। তাতে কংগ্রেসের থাকবেন ২০ জন। জেডি(এস)-এর মন্ত্রীর সংখ্যা হবে ১৩।
মুখ্যমন্ত্রী পদে জেডি(এস)নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের জি পরমেশ্বরকে নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। জানা গিয়েছে, অর্থ দফতর নিজের হাতেই রাখতে চান কুমারস্বামী। তাতে কংগ্রেসের তরফ থেকে আপত্তি তোলা হয়নি। তবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দাবি, ডি কে শিবকুমারকে দেওয়া হোক গুরুত্বপূর্ণ দফতর। সিদ্দারামাইয়া মন্ত্রিসভাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছিলেন। তার উপর কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পা শপথ নেওয়ার পর যাঁরা কংগ্রেস ও জেডি(এস) বিধায়কদের আগলে রাখার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের মধ্য প্রথম নাম শিবকুমার। সেই কাজে সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলে কংগ্রেসের তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সিদ্দারামাইয়ার যে কী ভবিষ্যত্, তা পরিষ্কার নয়। দেবগৌড়ার সঙ্গে সংঘাতের জেরে তাঁকে একটা সময় বহিষ্কার করেছিল জেডি(এস)। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি বসেন কর্নাটকে মুখযমন্ত্রীর কুর্সিতে। সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে জেডি(এস)নেতৃত্বের সম্পর্কটা তিক্ত বললেও বোধহয় কম হয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, নয়া মন্ত্রিসভায় থাকবেন না সিদ্দারামাইয়া।
জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভা নিয়ে কংগ্রেস ও জেডি(এস) নেতৃত্ব আরও বেশ কয়েক দফায় আলোচনায় বসতে পারেন। লক্ষ্য একটাই- নতুন সরকারের চলার পথ মসৃণ করা।
আরও পড়ুন : কর্নাটকের রাজ্যপালকে ‘অনুগত কুকুর’ বলে টুইট, বিতর্কে কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম
আরও পড়ুন: মোদীকে মাত করে ডাক জোটের
ভোটের প্রচারে জেডি(এস)-কে বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে তকমা দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু অতীত ভুলে যে সামনের দিকে এগোতে চাইছেন কুমারস্বামী, সেটা স্পষ্ট। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গা্ধীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন কুমারস্বামী। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো কট্টর বিজেপি বিরোধীরা। আগামী বুধবার কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। অনেকেই বলছেন, শপথ অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত কান্তিরাভা স্টেডিয়াম হয়ে উঠতে পারে বিজেপি বিরোধিতার জমায়েত স্থল।