শিল্পপতি গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
গৌতম আদানির শিল্পসংস্থা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ তুলে রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। তার পর গত ২ মার্চ শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। স্থির হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম সাপ্রের নেতৃত্বে ওমপ্রকাশ ভট্ট, বিচারপতি জেপি দেবদত্ত, কেভি কামাথ, নন্দন নিলেকানি এবং সোমাশেখর সুন্দারেশনের কমিটি শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু অনামিকা জয়সওয়াল বলে এক আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, কমিটির তিন জন সদস্যের ‘স্বার্থের সংঘাত’ রয়েছে। তাই কমিটি পুনর্গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আবেদনকারীর আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ওমপ্রকাশ ভট্ট বর্তমানে যে পুনর্নবীকরণ শক্তি সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই সংস্থার ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসাবে ঋণখেলাপি শিল্পপতি বিজয় মাল্যকে আইন ভেঙে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার একটি মামলায় ২০১৮ সালে ভট্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
আবার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কেভি কামাথের নাম উঠে এসেছে ওই ব্যাঙ্কেরই দুর্নীতিকাণ্ডে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতিতে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে সংস্থার প্রাক্তন সিইও ছন্দা কোচরের নাম। অন্য দিকে সোমাশেখর সুন্দারেশন সম্পর্কে আবেদনকারীর বক্তব্য, কমিটির এই সদস্য প্রবীণ আইনজীবী হিসাবে সেবি বোর্ড-সহ একাধিক জায়গায় আদানি গোষ্ঠীর হয়ে আইনি সওয়াল করেছেন। এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনকারীর আর্জি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, এমন সদস্যদের নিয়ে নতুন কমিটি গড়া হোক। বর্তমান কমিটি দেশবাসীর আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হবে বলেও দাবি করেছেন ওই আবেদনকারী।