ছবি: সংগৃহীত
রণাঙ্গনের নাম টুইটার। সেখানেই মনমোহন সিংহকে নিয়ে খণ্ডযুদ্ধ বাধল বিজেপি ও কংগ্রেসের।
শনিবারই দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি থেকে এআইসিসি-র সদস্য মনোনীত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। একটু পরেই টুইটারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কংগ্রেস ছেড়ে অসমের ভোটের আগেই হিমন্ত বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আজ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মনমোহন অসম থেকে রাজ্যসভার সদস্য। এত দিন তিনি অসম থেকেই এআইসিসি-তে প্রতিনিধি ছিলেন। অসমের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিএসটি জট নিয়ে সরব বিরোধীরা
হঠাৎ দিল্লি থেকে কেন? কী হল?’
টুইটারে শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবের কাছে হিমন্ত জানতে চান, তাঁর কাছে ব্যাখ্যা রয়েছে কি না! সুস্মিতা বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ জাতীয় স্তরে স্বীকৃত নেতা। আশা করি তা মানবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও তো গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন!’
অর্থের পাশাপাশি অসমের স্বাস্থ্য দফতরও হিমন্তের হাতে। সম্প্রতি বরপেটার হাসপাতালে ৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে টুইটের শেষে হিমন্তকে উদ্দেশ করে সুস্মিতা লেখেন, ‘স্যার, আপনি অসমের হাসপাতালের শিশুদের দিকে নজর দিন।’
মনমোহনের রাজ্যসভায় ভোটের সময়ে হিমন্তই যাবতীয় দায়িত্বে থাকতেন। অসম থেকে রাজ্যসভায় মনমোহনের জয় নিশ্চিত করতেন। সুস্মিতার খোঁচার পরেও হাসপাতাল-প্রসঙ্গ এড়িয়ে তীব্র কটাক্ষে তিনি লেখেন, ‘মানলাম। আগেই বোঝা ছিল, যখন উনি অসমের বন্যার সময়ে এক বারও আসেননি। আসলে উনি জাতীয় স্তরে স্বীকৃত নেতা কি না!’ সুস্মিতা তখন পুরনো কথারই জের টেনে লেখেন, ‘আশা করি আপনি কখনও না কখনও বরপেটায় যাবেন।’
হিমন্ত আর উত্তর দেননি। সুস্মিতাও না। তবে এর পরে ওই টুইট-যুদ্ধের পেজটিতে কেউ কেউ লিখেছেন, ‘এ বার আর উনি (হিমন্ত) কোনও কথা বলবেন না।’ কেউ আবার সুস্মিতাকে লিখেছেন, ‘মোদীর স্থায়ী ঠিকানা তো বারাণসীতে নয়। মনমোহনের ঠিকানা দিসপুরের। দু’টোর তুলনা করবেন না।’ কিন্তু আশ্চর্য ভাবে সন্ধের পরে দেখা গিয়েছে, বন্যা নিয়ে হিমন্তের খোঁচা ও বরপেটা নিয়ে সুস্মিতার পাল্টা— দু’টোই উধাও হয়ে গিয়েছে টুইটার থেকে!