—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খাস অযোধ্যায় হারের কারণ খুঁজতে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ছিলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও। গত কাল সেই বৈঠকে অযোধ্যার জেলাশাসক নীতীশ কুমারের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন হনুমানগড়হি মন্দিরের মোহান্ত রাজু দাস। অভিযোগ, ঝামেলার পরে রাজু দাসের সরকারি নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যা তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র বলে পাল্টা সরব হয়েছেন রাজু। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই ঘটনাটি ঘটে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী সূর্যপ্রতাপ শাহি ও জয়বীর সিংহের উপস্থিতিতে।
তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার জন্য রামমন্দির নির্মাণ ও রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠাকে নির্বাচনী বৈতরণী পারের কড়ি হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও দল। কিন্তু অযোধ্যা যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই ফৈজাবাদ কেন্দ্রেই সমাজবাদী পার্টির দলিত প্রার্থীর কাছে হেরে যান বিজেপির দু’বারের জয়ী প্রার্থী। অযোধ্যার হার রীতিমতোঅস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে দলকে। সেই কারণে গতকাল হারের কারণ পর্যালোচনা করতে দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।
সূত্রের মতে, রাজু এই পরাজয়ের পিছনে প্রশাসনের নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রীদের সামনেই সরব হন। সূত্রের মতে, তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর প্রশ্নে উদ্য়োগী হয়নি স্থানীয় প্রশাসন। সরাসরি জেলা প্রশাসনের দিকে আঙুল ওঠায় প্রতিবাদ জানান নীতীশ কুমার। তিনি পরবর্তী সময়ে রাজুর পাশের আসনে বসতেও আপত্তি জানান। যা নিয়ে বৈঠকে তীব্র ঝামেলা শুরু হয়।
একটি সূত্রের দাবি, কথা কাটাকাটির মধ্যে রাজুর নিরাপত্তার জন্য যে সশস্ত্র পুলিশকর্মী ছিলেন, তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে হত্যার ছক কষা হচ্ছে বলে বৈঠকেই পাল্টা শোরগোল ফেলে দেন রাজু। সূত্রের মতে, সরযূ গেস্ট হাউসের বৈঠকে ওই বিতর্ক থামাতে মাঠে নামতে হয় দুই মন্ত্রীকে।
বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশের খারাপ ফল অনেক বাস্তব সত্যকে সামনে এনে দিয়েছে। যা ক্রমশ সামনে আসছে। যদি ওই রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরতে হয়, তা হলে নতুন করে দলকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে। হারের কারণ খোঁজা ও দলকে গুছিয়ে নেওয়ার কৌশল ঠিক করতে ঘরে ঘরে গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন দলীয় কর্মীরা।’’