চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার নীরজ ছারি জানিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনাটি জানেন। এমনকি, ভিডিয়োটিও তিনি দেখেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতালের ভিতরে এ সব করা যায় না। ওই সময়ে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে কোনও চিকিৎসক ছিলেন, সে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে নোটিস দেওয়া হবে।’’
প্রতীকী ছবি।
মধ্যপ্রদেশে একটি সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই তান্ত্রিক নিয়ে এসে রোগীর ঝাড়ফুঁক করানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপ্রদেশের অশোক নগর জেলা হাসপাতালে গত শুক্রবার রাতে কাছিয়া বাই আহিরওয়ার নামে ৬৫ বছরের অসুস্থ মহিলাকে ভর্তি করা হয়। একটি বিয়ে বাড়ি গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিজন। এর পরেই হাসপাতালে এক তান্ত্রিককে নিয়ে হাজির হন ওই মহিলার আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, কাছিয়া বাইকে ঝাড়ফুঁক করতে হবে। এই নিয়ে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে এক দফা গোলমাল হয়।
এর পরে এক প্রকার জোর করেই ওয়ার্ডে ঢুকে ওই ষাটোর্ধ্ব মহিলার শরীর থেকে ‘অশুভ শক্তি’কে বার করতে ঝাড়ফুঁক করেন তান্ত্রিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োটিতে (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখা গিয়েছে, ওই তান্ত্রিক হাতে জল নিয়ে রোগীর মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছেন এবং জোরে জোরে মন্ত্রোচ্চারণ করেছেন।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডি কে ভার্গব আজ জানান, হাসপাতালে তান্ত্রিক ঢুকে ঝাড়ফুঁক করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে গোটা ঘটনা জানিয়েছে। প্রথম স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই তান্ত্রিককে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু রোগীর বাড়ির লোকেরা রীতিমতো জোরজবরদস্তি করে। তাঁদের দাবি, চিকিৎসার সঙ্গে মন্ত্রতন্ত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার নীরজ ছারি জানিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনাটি জানেন। এমনকি, ভিডিয়োটিও তিনি দেখেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতালের ভিতরে এ সব করা যায় না। ওই সময়ে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে কোনও চিকিৎসক ছিলেন, সে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে নোটিস দেওয়া হবে।’’