দেশের মাটিতে হোক কিংবা বিদেশে— কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেখানেই যাবেন, খরচের খুঁটিনাটি হিসেব দিতে হবে তাঁদের। নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে তথ্য দিতে যখন অস্বীকার করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, তখন এই সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের একটি কমিটি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেও কেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদ পূরণ করছে না মোদী সরকার, তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। এই চাপের মধ্যে সিভিসি, সিআইসির মতো সাংবিধানিক শূন্যপদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ করতে শনিবারই বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। আর এই সময়েই সামনে এসে গেল প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার এ এন তিওয়ারির নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট। যা স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে।
রিপোর্টে মনমোহন সিংহের জমানায় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তির (২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর) কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি মন্ত্রককে বলা হয়েছিল, তারা যেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সফরের খরচ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে। এখন মোদী সরকারের সামনে সিআইসি-র গঠিত কমিটির সুপারিশ, তিন মাস অন্তর মন্ত্রীদের সফরের খরচ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা দরকার। সফরের বিস্তৃত তথ্য দিতেও সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।
নিজেদের সুপারিশের পিছনে কমিটির যুক্তি, গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের স্বার্থে কাজ করার কথা বলে সরকার। ফলে সরকার আর মানুষের মধ্যে গোপনীয়তার দেওয়াল তোলার দরকার নেই। কেননা, স্বচ্ছতা মানুষকে সরকারের কাছাকাছি আসতে সাহায্য করে। ইউপিএ জমানায় নিজের বিদেশ সফরের খরচ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেখা গিয়েছিল, ২০০৪ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিদেশে যাতায়াত করতে তাঁর বিমান ভাড়াই ছিল ৬৪২ কোটি টাকা। মোদীর দফতর যদিও তাঁর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে এখনও তথ্য প্রকাশ করেননি।