ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) সদস্যপদের বিষয়ে দিল্লির পাশে থাকার বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার বলেন, ‘‘এনএসজি-র সদস্যপদের বিষয়ে আমরা দিল্লির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি।’’ এনএসজি-তে ভারতের সদস্যপদের পথে বাধা চিন। সেই চিনা প্রাচীর সরাতে ওয়াশিংটনের আরও বেশি সমর্থন চাইছে দিল্লি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয় তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে জাস্টার আজ বলেছেন, ‘‘ভারত কিছু দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হবে বলে আমাদের আশা।’’ রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের প্রসার রুখতে রফতানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ জারি রাখে বিভিন্ন দেশ। অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠীতে কোন কোন পণ্যের উপরে নিয়ন্ত্রণ জারি রাখা হবে তা স্থির হয়। ওই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলে তা এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধে হয় বলে মত কূটনীতিকদের।
মোদী সরকার খুচরো ব্যবসায়ে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির পথ খুলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আরএসএসেরই সংগঠন। কিন্তু এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপে ওয়াশিংটন খুশি। তাঁর দাবি, অনেক মার্কিন সংস্থা চিনে কাজকর্ম কমাতে বাধ্য হচ্ছে। তারা ভারতে ব্যবসা বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্কের মঞ্চও (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম) এক বিবৃতি দিয়ে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এর ফলে ভারত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য বিস্তর টানাপড়েন হয়েছে সরকার তথা বিজেপির অন্দরে। বাণিজ্য মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক ও দলের বড় অংশই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। তাদের প্রশ্ন, ইউপিএ জমানায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। তাহলে এখন কোন যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জবাব, দেশীয় সংস্থাগুলি যাতে খুচরো ব্যবসায়ে যথেষ্ট লগ্নি করে সে জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ লগ্নি হয়নি। ফলে বিদেশি লগ্নির জন্য পথ খুলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
মোদী সরকার সূত্রের দাবি, এই সিদ্ধান্তের বিনিময়ে আরও বেশি মার্কিন কূটনৈতিক সমর্থন চাইছে দিল্লি। ট্রাম্প প্রশাসনও আজ এনএসজি নিয়ে সদর্থক বার্তা দিয়েছে। ১৪ জানুয়ারি ভারতে আসছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাইছে মোদী সরকার। ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা পাশে থাকলে সে কাজ আরও সহজ হবে।