National News

৩১ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক ঋণ নয়ছয়ের অভিযোগ ডিএইচএফএলের বিরুদ্ধে

তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত একটি নিউজ পোর্টাল ‘কোবরাপোস্ট’-এর অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থাকে বিপুল ঋণ দিয়েছে ডিএইচএফএল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও প্রকল্পের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা নয়ছয় করে বিদেশে বিপুল সম্পত্তি কেনার অভিযোগ উঠল এ বার একটি নন-ব্যাঙ্কিং অর্থ প্রতিষ্ঠান দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল)-এর বিরুদ্ধে। দাবি, সব মিলিয়ে কেলেঙ্কারির অঙ্ক ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

Advertisement

তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত একটি নিউজ পোর্টাল ‘কোবরাপোস্ট’-এর অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থাকে বিপুল ঋণ দিয়েছে ডিএইচএফএল। যেগুলি সংস্থার প্রোমোটার বা তাঁদের পরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্কিত। বহু সংস্থার ডিরেক্টর ও অডিটরের নাম, এমনকি ই-মেল আইডি পর্যন্ত এক। অথচ ধার দেওয়া হয়েছে সে সব খতিয়ে না দেখেই। অভিযোগ, ধারের টাকা পরে দেশের বাইরে সরিয়ে ঢালা হয়েছে প্রোমোটারদেরই বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্পে। কেনা হয়েছে বিপুল সম্পত্তি। শ্রীলঙ্কায় একটি ক্রিকেট টিমও কেনা হয়েছে। পোর্টালটির তথ্য, ডিএইচএফএলকে প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে ৩২টি ব্যাঙ্ক।

পাল্টা বিবৃতিতে ডিএইচএফএলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বাজেটের মুখে তাদের নামে এই প্রচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইএলঅ্যান্ডএফএস নিয়ে চর্চা জারি থাকতেই বিতর্কের মুখে পড়ল একটি নন-ব্যাঙ্কিং অর্থ প্রতিষ্ঠান।

Advertisement

পোর্টালটির অভিযোগ, গুজরাত ও কর্নাটকে ভোটের আগে সেখানকার ঠিকানার কিছু ভুয়ো সংস্থায় টাকা গিয়েছে। বিজেপিকে ১৯.৫ কোটি চাঁদাও দিয়েছে প্রোমোটারদের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩ সংস্থা।

আরও পড়ুন- আদায় করতে না পেরে সওয়া ১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বাতিল করল ১৬টি ব্যাঙ্ক​

আরও পড়ুন- তদন্ত নিয়ে তুলোধোনা পুলিশকে, রেড রোড কাণ্ডে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি সাম্বিয়াকে​

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হার কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী হামেশাই নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করেন। তা হলে তাঁর সরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবির নাকের ডগায় এটা ঘটল কী ভাবে? তবে কি সব দেখেও না দেখার চাপ ছিল? বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের প্রশ্ন, এই জন্যই কি এনবিএফসির হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র?

ডিএইচএফএলের বক্তব্য, তাদের জবাবের জন্য একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রশ্ন পাঠিয়েছে পোর্টালটি। সময় দেয়নি উত্তর দেওয়ার। তাদের দাবি, ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙেনি তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement