Uniform Civil Code

গুজরাতের পর মধ্যপ্রদেশও! অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-কমিটি গড়ার ঘোষণা শিবরাজের

মধ্যপ্রদেশেও আগামী বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তা নজরে রেখেই রাজ্যের শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নের তোড়জোড় শুরু করেছে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১৯
Share:

শিবরাজ সিংহ চৌহান। ফাইল ছবি।

গুজরাতের পর মধ্যপ্রদেশও। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্য। এ বছরের গোড়ার দিকে উত্তরাখণ্ডে ভোটের ঠিক আগেও সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। যার সুফল মিলেছিল ভোটের বাক্সে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতেও একই কৌশল নিয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশেও আগামী বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তা নজরে রেখেই রাজ্যের শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নের তোড়জোড় শুরু করেছে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বদায়ুনিতে একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ জানিয়ে দেন, রাম মন্দির নির্মাণ, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে এ বার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই আইন যাতে সুষ্ঠু ভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও চলছে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও বিধি প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিটি গড়ছি। এক ব্যক্তি একটিই বিয়ে করবেন।’’

প্রসঙ্গত, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, দত্তক, উত্তরাধিকার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশে নানা ধর্মের ও জনজাতিদের নিজস্ব আইন রয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে দেশের সব নাগরিককেই একই ধাঁচের পারিবারিক আইন মেনে চলতে হবে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপি যে রাজ্যগুলিতে একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যগুলিতে ওই আইন আনার কথা ভাবা হয়েছে। অন্তত প্রবণতাও তা-ই বলছে। সে ক্ষেত্রে শরিয়ত আইন গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। বিজেপির দাবি, এতে সমাজে অসাম্য ঘুচবে। মহিলাদের অধিকার বাড়বে। এ ছাড়া, সংবিধানে দেশের নাগরিকদের জন্য যে সাম্যের কথা বলা আছে, তার অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, সরকারের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক ও সংখ্যালঘু-বিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক হিসাবে ব্যাখ্যা করছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, মুল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আইন প্রণয়নের মাধম্যে মুসলিম সমাজের অধিকার হরণের চেষ্টায় নেমেছে বিজেপি সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement