সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার নিন্দা করলেন বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্য সরকার সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এই ঘটনা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ঘটনার প্রয়োজনীয় তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার আগরতলায় সিপিএমের সদর দফতর-সহ একাধিক পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একটি সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। আরও একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মারধোর করার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ওই ঘটনার জন্য দায়ী করেন রাজ্যের শাসক দল বিজেপি-কে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় এক মৌনী মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিলচরের প্রাক্তন সংসদ সদস্য তথা মহিলা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরার রাজনীতির কারবারিদের মতে, বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণে চাপে পড়েই মুখ্যমন্ত্রীকে বিবৃতি প্রকাশ করতে হয়েছে। সঙ্গে জানাতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের মদতেই সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা হয়েছে। ত্রিপুরায় বিরোধীদলের যেমন সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই। তেমনই সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে হিটলারি কায়দায়।
বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক সিপিআই জাতীয় পর্যায়ে বিবৃতি প্রকাশ করে সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলার নিন্দা করেছে। তাদের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে সিপিএম-সহ বামপন্থী আন্দোলনের উপর ত্রিপুরায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছে বিজেপি এবং আরএসএস। সেই আক্রমণ থেকে ছাড় পাচ্ছে না সংবাদমাধ্যমও।