হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস। ছবি: পিটিআই।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হিমাচল প্রদেশের সিরমুরে ধস নামল। আর সেই ধসেই চাপা পড়ে গেল আস্ত একটি বাড়ি। বেশ কয়েক জন ওই ধসের নীচে চাপা পড়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল সিরমুর জেলায়। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টি নেমে আসে। আর তার জেরে ধসের নীচে চাপা পড়ে যায় একটি বাড়ি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধসের নীচে আটকে রয়েছেন তাঁরা। ধস সরিয়ে দ্রুত ওই পাঁচ জনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। বুধবার রাতেও মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছিল সিরমুরের পোয়ান্তা সাহিবে। ওই এলাকার মালাগি দাদিয়াত গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাঁচ জন নিখোঁজ হয়েছেন তাঁরা হলেন, কুলদীপ সিংহ, তাঁর স্ত্রী জিতো দেবী। এ ছাড়াও নীতেশ, দীপিকা এবং রজনী দেবী নামে আরও তিন জন ধসে চাপা পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ৭০৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক। এ ছাড়াও ধসের জেরে বন্ধ রাজবান এবং সাতাউন যাওয়ার রাস্তা। গিরি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হিমাচলে বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি এবং সড়ক দুর্ঘটনার জেরে এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবাহওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এবং রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ফলে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।