বয়স ভাঁড়িয়ে পরীক্ষা, বিহারে ধৃত ‘টপার’ গণেশ

বয়স লুকিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল বিহারের উচ্চ মাধ্যমিকের কলা বিভাগের ‘টপার’ গণেশ কুমার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯০-এ অন্য নামে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ০৩:০২
Share:

বয়স লুকিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল বিহারের উচ্চ মাধ্যমিকের কলা বিভাগের ‘টপার’ গণেশ কুমার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯০-এ অন্য নামে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে সে। আজ পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করে বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতি। এ দিন সন্ধেয় গ্রেফতার হয় গণেশ।

Advertisement

তবে বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতির চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর দাবি করেছেন, এ জন্য কোনও ভাবেই সমিতিকে দায়ী করা যায় না। কারণ, তথ্য গোপন করে পরীক্ষা দিয়েছিল গণেশ। আনন্দ জানান, ১৯৯০ সালে গণেশ রাম নামে পরীক্ষায় বসেছিল ওই ব্যক্তি। এ বার পরীক্ষার অ্যাডমিশন ফর্মে তার বয়স লিখেছিল ২৪ বছর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, আসলে গণেশ কুমারের বয়স ৪২। এ দিন আনন্দ কিশোর জানান, যে স্কুল থেকে গণেশ পাশ করেছে, তার বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মেধা তালিকা থেকে সরানো হয়েছে গণেশের নাম। পটনার এসএসপি মনু মহারাজ জানান, গ্রেফতার করে গণেশকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় জেরা করা হচ্ছে।

ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা গণেশ বিহারের সমস্তীপুর জেলার রাজনন্দন সিংহ-জগদীপ নারায়ণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। মার্কশিট অনুযায়ী গণেশ হিন্দিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯২ পেয়েছিল। সঙ্গীত থিওরিতে ৩০-এ ১৮ এবং প্র্যাকটিক্যালে ৭০-এ পায় ৬৫। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ভুলভাল উত্তর দিয়ে বিতর্ক ছড়ায় মেধা তালিকার ওই ‘টপার’। তার ‘সরগম’-এর জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নিয়ে কাল নীতীশ কুমার সরকারের অস্বস্তি বাড়ান রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী জলিল মস্তান। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওই পরীক্ষার খাতা দেখেছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।’’ সরব হয় বিরোধী শিবিরও। বিজেপির সুশীল মোদী বলেন, ‘‘বিহারের মেধা শেষ করছে নীতীশ কুমার সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement