প্রতীকী চিত্র।
গুরুগ্রামের ছায়া এবার গুজরাতের ভদোদরায়।
ভদোদরার শ্রী ভারতীয় বিদ্যালয়ের শৌচাগারে মিলল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ। স্কুলের শৌচাগারে শুক্রবার সকালে দেব ভাগবত নামের ওই ছাত্রের রক্তাক্ত মৃতদেহ মেলে। দেবের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। জানিয়েছে পুলিশ। ছুরির আঘাত ছিল পাকস্থলিতেও। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল একটি রক্তমাখা ধারালো ছুরি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শৌচাগারে ওই স্কুলেরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। সারা দেশেই ওই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।
ভদোদরার প্রায় অনুরূপ ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য, ওই ছাত্রকে খুন করে স্কুলের শৌচাগারে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ তদন্তে নেমে একটি স্কুলব্যাগ থেকে তিনটি বড় ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ ওই ব্যাগে ছিল লঙ্কার গুঁড়োভর্তি জলের বোতলও।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গেল কম্যান্ডো, নজর অমরনাথ যাত্রায়
চলমান সিঁড়ি নয় দু’হাজার স্টেশনে
ভদোদরার পুলিশ কমিশনার মনোজ শাহিধর বলেন, ‘‘স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তেজনার বশে নয়, এটি পূর্বপরিকল্পিত খুনের ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই অন্য স্কুল থেকে এই স্কুলে এসে ভর্তি হয়েছিল দেব। সে থাকত মাসির সঙ্গে। তার বাবা-মা থাকেন গুজরাতের আনন্দ জেলায়।’’
এই পড়ুয়ার সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে দশম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার মতবিরোধ ছিল। তার জেরেই এই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শাহিধর জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্কুলের চার ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।