বাথরুম থেকে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
সর্বক্ষণ মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করায় ছেলেকে বকেছিলেন মা। আর তার জেরেই অভিমানে নিজের জীবন শেষ করল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে।
পুলিশ জানিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনে আসক্তি বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তার মা বিনয়া। পড়াশোনার ক্ষতিও হচ্ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে ছেলেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখায় তাকে নিষেধ করেন বিনয়া। সোমবার ছেলেকে বেশ বকাঝকাও করেছিলেন তিনি।
বিনয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, ছেলেকে বকার পর সে কোনও কথাই বলেনি। শান্ত ভাবেই স্নান করতে বাথরুমে ঢুকে যায়। কিন্তু বেশ কিছু সময় কেটে গেলেও ছেলের সাড়াশব্দ না পেয়ে বিনয়া বাথরুমের দরজায় ধাক্কা মারেন। কিন্তু তাতেও ভিতর থেকে ছেলের সাড়া না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি এবং তাঁর স্বামী জগদীশ। এর পরই জগদীশ বাথরুমের জানলার কাচ ভেঙে উঁকি মারতেই আঁতকে ওঠেন। বাথরুমের ভিতরে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেতেই চিৎকার করে পড়শিদের ডাকেন। জানলা দিয়ে কোনও রকমে ভিতরে ঢোকেন। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল কিশোরের।
পুলিশকে কিশোরের বাবা-মা জানিয়েছেন, ছেলেকে মোবাইল ফোনের জন্য আগেও বকেছিলেন। কিন্তু নিজের জীবন এ ভাবে শেষ করে দেবে কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।