midday meal

গোরক্ষপুরে মিড ডে মিলে বিষ মেশালো ছাত্রী, অল্পের জন্য রক্ষা পেল পড়ুয়ারা

এর পরই রাধিকা পুরো বিষয়টি জানান স্কুলের প্রিন্সিপাল ভৃগুনাথ প্রসাদকে। খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার মাকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গোরক্ষপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ১৩:২৯
Share:

ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে মিড ডে মিলে বিষ মেশাল ছাত্রী।— প্রতীকী ছবি।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটিকে চুপিসাড়ে রান্না ঘরে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল রাঁধুনির। তিনিও পিছু নিয়েছিলেন ছাত্রীটির। আর সেখানে ঢুকে মিড ডে মিলের জন্য রান্না করে রাখা ডালের উপর সাদা আস্তরণ দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায় রাঁধুনি রাধিকার। সন্দেহের বশেই ছাত্রীটিকে আটক করে তিনি। শুরু করেন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তখন ছাত্রীটির বয়ান শুনে রীতিমতো চমকে ওঠেন সবাই।

Advertisement

ছাত্রীটি জানায়, স্কুলের সব ছাত্রকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল সে। আর সে জন্য স্কুলের মিড ডে মিলের ডালে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার বনকাঁটা থানা এলাকার বাউলিয়া গ্রামের সরকারি জুনিয়ার হাই স্কুলে।

এর পরই রাধিকা পুরো বিষয়টি জানান স্কুলের প্রিন্সিপাল ভৃগুনাথ প্রসাদকে। খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার মাকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

কী জন্য এমন পরিকল্পনা করেছিল ছাত্রীটি?

পুলিশ জানিয়েছে, ভাইয়ের খুনের বদলা নিতেই এই পরিকল্পনা।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতার আবাসনে পাহারায় মহিলারাই

ওই স্কুলেই তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটির ভাই। গত ২ এপ্রিল স্কুলের মধ্যেই খুন হয়ে সে। অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে, ওই ছাত্রটিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ঘটনার পরই ‘বদলা’ নেওয়ার পরিকল্পনা করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি। সেই পরিকল্পনা মতোই মঙ্গলবার মিড ডে মিলে বিষ মিশিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: ব্রু-দের ফেরাতে জট, চিন্তায় নির্বাচন কমিশন

এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা তৈরি হয় গ্রামে। গ্রামবাসীরা চড়াও হন অভিযুক্ত ছাত্রীটির বাড়িতে। তার মাকে মারধর করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। বনকাঁটা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার দেবেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছাত্রীটিকে আপাতত জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির মাকে। জেলার খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক আর সি পাণ্ডে জানিয়েছেন, মিড ডে মিলের ডালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তা পাঠানোও হয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট চলে আসবে। তার পরই বিষ মেশানো হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব।

আরও পড়ুন: প্রবাসীদের মঞ্চেও হিন্দুত্বের প্রচার!

স্কুলের প্রিন্সিপাল ভৃগুনাথ প্রসাদ জানিয়েছেন, রাঁধুনির তৎপরতায় কয়েক শো পড়ুয়ার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement