প্রতীকী ছবি।
উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমায় আরএসএস পরিচালিত সদ্ভাবনা মঞ্চের সদস্যের উপরে হামলা চালাল নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের লোকজন। জখম হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এই ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি রঞ্জিত নাথের দাবি ওই হামলার সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই জড়িত নন। যদিও আরএসএস প্রচারক তাপস রায়ের বক্তব্য, রাাজ্যে জাতি ও জনজাতির মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যেই তাঁরা সদ্ভাবনা মঞ্চ গড়েছেন। কিন্তু কাঞ্চনপুরে রিয়াং শরণার্থী শিবিরকে কেন্দ্র করে অশান্তি পাকাতে চাইছে কিছু স্বার্থান্বেষী। স্থানীয়দের খেপিয়ে তুলে ফায়দা নিতে চাইছে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ। তাই পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে গত কাল কাঞ্চনপুর মহকুমায় তিনটি স্থানে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। উত্তর ত্রিপুরা জেলা কার্যবাহ বিজয় রায় জানান, দশদা স্কুলের বৈঠকে প্রায় ৩০-৪০ জন তাঁদের উপরে আক্রমণ করে। এতে উত্তর ত্রিপুরা জেলা সঙ্ঘচালক বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য-সহ ১০ জন আহত হন। তাঁদের প্রথমে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে ও পরে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে কাঞ্চনপুর থানায় মামলা করা হলে পুলিশ রাত থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী।আজ দুপুর পর্যন্ত্য ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে।
সদ্ভাবনা মঞ্চের বিরুদ্ধে জাতি-জনজাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি ও অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি রঞ্জিত নাথ। তাঁর মতে, স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই সদ্ভাবনা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। গত কালের হামলায় নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের কেউ যুক্ত নন। বৈঠক চলাকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের বাধা দিয়েছেন। তাতে, পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েছে। তাঁদের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
রঞ্জিতবাবু জানান, নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ আজ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাঞ্চনপুর থানা এবং আদালত চত্ত্বরে জমা হন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, পক্ষপাত হলে মহকুমায় বাজার-হাট বন্ধ রাখা হবে।