প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সরলেন পিকে সিন্হা। —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে এ বার ইস্তফা দিলেন পি কে সিন্হা। পদত্যাগের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে দিল্লিসূত্রে খবর। বিগত ১৮ মাস ধরে ওই পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলেই সাউথ ব্লকে পরিচিত ছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর পদত্যাগ অনেকেরই কপালে ভাঁজ ফেলছে।
২০১৯-র আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা বলে কোনও পদ ছিল না প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। দ্বিতীয় বার মোদী ক্ষমতায় আসার পর, সিন্হার জন্যই ওই বিশেষ পদটি তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সমকালীন মেয়াদই নির্ধারণ করা হয় ওই পদটির জন্য। সিন্হার নিয়োগপত্রেও তার উল্লেখ ছিল। তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত যত আমলা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিজ্ঞ আমলা ছিলেন সিন্হা। চার বছরের বেশি সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব ছিলেন তিনি। তিন তিন বার তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আর কোনও আমলার ক্ষেত্রে যা আগে ঘটেনি। তার আগে, কংগ্রেস নেতত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তিনটি মন্ত্রকের সচিব হিসেবেও কাজ করেন সিন্হা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর প্রথম দফাতেও মন্ত্রিসভার সচিব ছিলেন তিনি। ২০১৯-এ অবসর নিলে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জায়গা দেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালের উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস অফিসার সিন্হা। মোদীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও, তাঁর পদমর্যাদার স্তর ঠিক হয়নি এতদিন। যদিও তাঁর অন্য দুই সতীর্থ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অতিরিক্ত প্রধান উপদেষ্টা থেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হওয়া গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার পিকে মিশ্র মন্ত্রীর সমান মর্যাদাই পান। মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মিশ্রের।