সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
মঙ্গলবারই সরকার ঘোষণা করেছে তালিবান। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কী নিয়ে বৈঠক সে বিষয়ে কোনও আভাস না পাওয়া গেলেও নিরাপত্তার বিষয়টিই যে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হতে চলেছে সেটা এক প্রকার স্পষ্ট। বিশেষ করে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়টিতেই জোর দিতে চাইছে দু’দেশ। শুধু তাই নয়, তালিবান যে আগামী দিনে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং সে কারণে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়েও দু’দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়া সেরে নিতে চাইছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
তালিবান ইতিমধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছে। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য যে কাশ্মীরের ‘মুক্তি’ হতে চলেছে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তার বিষয়টি বার্নস এবং ডোভালের আলোচনার অন্যতম আলোচ্য হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তালিবানের প্রতি বার্তা দিয়ে নয়াদিল্লি আশা প্রকাশ করেছে, আফগানিস্তানের মাটিকে জঙ্গি কার্যকলাপের ব্যহারে অনুমতি দেবে না তালিবান।
আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তালিবান নিজেদের নয়া রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। সকলের সহযোগিতাও চেয়েছে। কিন্তু তাদের সেই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না অনেক দেশই। বিশেষ করে আমেরিকা এবং ভারত। তাই দুই দেশের মধ্যে এই আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তালিবান ক্ষমতায় আসায় চিন এবং পাকিস্তানের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ভারতের সঙ্গে দু’দেশের ‘বৈরিতা’ দীর্ঘ দিনের। তার মধ্যে আফগানিস্তানের সরকার গঠনে পাকিস্তানের হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মত। যা ভারতের পক্ষে একটা আশঙ্কার বিষয়। কেননা, এই হক্কানি গোষ্ঠীই ভারতে জঙ্গি তৎপরতায় মদত জোগাতে পারে বলে মনে করছন অনেকেই। তার সঙ্গে আল কায়দাও তালিবানের কাঁধে ভর দিয়ে স্বমূর্তিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তার উপর আফগানিস্তানের সরকার গঠনে পাকিস্তানের অতিসক্রিয়তা নয়াদিল্লির চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।