ছবি: সংগৃহীত
কাকা পশুপতি নাথ পারসের কৌশলে দলেই কোণঠাসা হয়ে এবং সব পদ হারিয়ে এ বার লোক জনশক্তি পার্টির জাতীয় এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকলেন এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান। রবিবারই পশুপতি নাথ পারসকে লোকসভায় দলের নেতা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেই চিরাগ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেন। পরিস্থিতির বিচারে সেই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
এ দিন বৈঠকের শুরুতেই চিরাগ উপস্থিত সদস্যদের দলের সংবিধান পাঠ করান এবং সূত্রের খবর, সেখানে চিরাগ সমর্থকেরা ‘যে কোনও
মূল্যে’ দলকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই বৈঠক থেকেই আগামী ৫ জুলাই, প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের জন্মদিনে তাঁর জন্মস্থল হাজিপুর থেকে ২ মাস ব্যাপী ‘আশীর্বাদ যাত্রা’র ঘোষণা করেছেন চিরাগ। তাঁর সমর্থকদের দাবি, ওই যাত্রা থেকে সহানুভূতি আদায় করে এলজেপির সভাপতি পদে ফেরাই এখন প্রথম লক্ষ্য চিরাগের।
যদিও দলের বর্তমান নেতা পশুপতি নাথ পারসের সমর্থকদের ব্যাখ্যা, পারস দলের নেতা হয়েই এলজেপি-র সব কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। তা ছাড়া চিরাগ যে হেতু দলের সভাপতি নন, তাই তাঁর ডাকা এই বৈঠক অবৈধ। উল্লেখ্য, এলজেপির ৬ জন সাংসদের মধ্যে ৫ জনই পশুপতি নাথ পারসের সমর্থক। চিরাগের পাল্টা দাবি, জাতীয় এগ্জিকিউটিভ কমিটির ৯০ ভাগ সদস্যের সমর্থন
তাঁর দিকেই রয়েছে। তাঁর সমর্থকদেরও দাবি, দলেই কোণঠাসা হয়ে সব পদ হারালেও চিরাগ যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। বিহারের পাসোয়ান জনগোষ্ঠীও চিরাগের পাশেই
রয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। কথাটা মানছে বিজেপিও। দলের একাধিক নেতার বক্তব্য, পাসোয়ান ভোটব্যাঙ্ক কিন্তু চিরাগের পাশেই। এই অবস্থায় দলের সাংসদ সংখ্যার হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পশুপতি নাথ পারসকে সমর্থন বিজেপির বিপদ ডাকতে পারে।
এ দিন আশীর্বাদ যাত্রার ডাক দিয়ে প্রয়াত রামবিলাসের স্ত্রীকে পাশে নিয়ে চিরাগ বলেন, ‘‘যে হেতু আমার নিজেরাই লোকেরাই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাই এই লড়াই কুরুক্ষেত্রের থেকে কম না। ৫ জুলাই থেকে জনগণের সমর্থন চেয়ে আমি এই যাত্রা শুরু করব। ৫ জুলাই বাবার জন্মদিনও আমরাই পালন করব।’’ রামবিলাস ভক্তরা এ দিন প্রয়াত নেতাকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। অন্য দিকে চিরাগ বলেছেন, যে হেতু মায়ের সমর্থন আমার পাশে রয়েছে, তাই আমি আর কোনও কিছুকে ভয় পাই না। সমর্থকেরা আমার পাশে রয়েছেন, আমার দরজা সকলের জন্যই খোলা।’’