Ladakh

ঘাঁটি সরিয়েছে চিনা সেনা, দাবি সংবাদমাধ্যমের

পূর্ব লাদাখে গোগরা-হট স্প্রিংস এলাকায় দখল করে রাখা জমি থেকে চিনা সেনা প্রায় ৩ কিলোমিটার পিছিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৭
Share:

লাদাখ পুরসভার সদস্যদের দাবি, ভারতীয় এলাকার মধ্যে নিজেদের পোস্ট সরাতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। ফাইল ছবি

পূর্ব লাদাখে গোগরা-হট স্প্রিংস এলাকায় দখল করে রাখা জমি থেকে চিনা সেনা প্রায় ৩ কিলোমিটার পিছিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। ওই এলাকার উপগ্রহ চিত্রের ভিত্তিতেই এই দাবি করেছে তারা। তাদের আরও দাবি, ওই এলাকায় তৈরি করা একটি বড় ঘাঁটিও সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা। সংবাদমাধ্যমের একাংশের আরও দাবি, ভারতীয় এলাকার মধ্যেই দু’দেশের সেনার মাঝে ‘বাফার জ়োন’ তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনের সেনার। তার পরে দফায় দফায় আলোচনার পরে কিছু এলাকা থেকে সেনা সরায় দু’দেশই। ১৭ জুলাই ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে ১৬তম দফার আলোচনা হয়। তার জেরেই গোগরা এলাকা থেকে সেনা সরিয়েছে দু’দেশ। সেনা সরানোর সমঝোতা হওয়ার পরেই সমরখন্দে এসসিও রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার দুই রাষ্ট্রনেতা এক মঞ্চে থাকলেও লাদাখ প্রসঙ্গ উচ্চারণ করেননি মোদী। তা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

এরই মধ্যে সামনে এসেছে একটি উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ সংস্থার তোলা গোগরা এলাকার ছবি। সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, ছবিতে কেবল চিনা সেনার অবস্থানই দেখা যাচ্ছে। ১২ অগস্ট তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে একটি এলাকায় বড় ঘাঁটি তৈরি করেছিল চিনা সেনা। ঘাঁটির চারপাশে ছিল পরিখা। ২০২০ সালের চিনা হামলার আগে ওই এলাকায় টহল দিত ভারতীয় সেনা। ১৫ সেপ্টেম্বরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওই ঘাঁটি ভেঙে ফেলেছে চিনা সেনা। ধ্বংসস্তূপও সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে তারা। অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সমঝোতা অনুযায়ী ওই এলাকাকে চিনা দখলদারির আগের চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

লাদাখ পুরসভার সদস্যদের দাবি, ভারতীয় এলাকার মধ্যে নিজেদের পোস্ট সরাতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। চুশুল এলাকার কাউন্সিলর কোনচোক স্টানজ়িন বলেন, ‘‘আমাদের সেনা পেট্রল পয়েন্ট ১৫ ও পেট্রল পয়েন্ট ১৬ থেকে সরেছে। ওই এলাকা ৫০ বছর ধরে আমাদের হাতে ছিল।’’ স্ট্যানজ়িনের দাবি, ‘‘এটা বড় ধাক্কা। আমাদের পশুচারণের মাঠ এখন দু’দেশের সেনার মধ্যে বাফার জ়োন হয়ে গিয়েছে।’’ তবে এ নিয়ে এখনও বিশদ তথ্য জানাননি ভারতীয় সেনার কর্তারা।

সূত্রের খবর, গোগরার উত্তরে ডেপসাং অঞ্চলে এখনও ভারতীয় সেনার টহলদারিতে বাধা দিচ্ছে চিনা সেনা। আলোচনার মাধ্যমে এই অঞ্চলে সমস্যা মেটানো যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement