—ফাইল চিত্র।
গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন রাতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিয়েছে চিন। সেনা সূত্রের খবর, সোমবার পূর্ব লাদাখের চুশুলের অদূরে চিন নিয়ন্ত্রিত মলডো এলাকায় দ্বিপাক্ষিক কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে চিন সেনার তরফে কম্যান্ডিং অফিসার-সহ কয়েকজন সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে। গালওয়ানের ঘটনার পরে এই প্রথম চিনের তরফে তাদের সেনার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া হল।
লেহতে অবস্থিত ভারতীয় সেনার ৩ নম্বর কোরের কম্যান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং পিএলএ’র সম-স্তরের এক আধিকারিকের এ দিনের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় এলএসি পেরিয়ে মে মাসে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের পরে গত ৬ জুন দু’পক্ষের লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছিল, উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক রিপোর্ট: নিয়ন্ত্রণরেখায় শক্তিতে ভারত-চিন কে কোথায় এগিয়ে
গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-তে চিনা ফৌজ সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। ১৫ জুন রাতে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে চিনা বাহিনীর হামলায় নিহত হন কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা। আহত হন অন্তত ৭৬ জন। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর ছিল, ১৬ বিহার রেজিমেন্টের প্রত্যাঘাতে হামলাকারী চিনা বাহিনীর অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়। এর পর থেকে গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা হট স্প্রিং, প্যাংগং লেকের উত্তরাংশের ফিঙ্গার এরিয়া-সহ লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় দু’তরফেরই সেনা তৎপরতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে ঢুকেছে ৪-৫ জঙ্গি? দিল্লিতে জঙ্গি হানার সতর্কতা
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার প্রধানদের বৈঠকে গতকালই স্থির হয়েছে, এলএসি’তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হবে। সেনা সূত্রের খবর এদিন দুপুর থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় ভারতের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ৪ মে’র আগের অবস্থানে পিছিয়ে যাক দুই বাহিনী।