ভারত মহাসাগরে আবার চিনের গুপ্তচর জাহাজ ‘উয়ান ওয়াং-৫’। ফাইল চিত্র।
ভারত মহাসাগরে আবার চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘উয়ান ওয়াং-৫’। ঠিক ৪ মাসের ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর ঘুরে যাওয়ার পরে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নরওয়ের সংস্থা মেরিটাইম অপটিমা থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, গত ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢুকেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।
গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সাহুল ব্যাঙ্ক এলাকায় ‘উয়ান ওয়াং-৫’-এর উপস্থিতি নজরে আসে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে তার দক্ষিণ চিন সাগরের হেনান দ্বীপপুঞ্জের দিকে যাচ্ছে ওই গুপ্তচর জাহাজ। সেখানকার চিনা নৌঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ডুবোজাহাজ বহর এবং পরমাণু অস্ত্র।
চলতি মাসেই ওড়িশার উপকূলে দূরপাল্লার অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। তার আগে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা গুপ্তচর জাহাজের গতিবিধি ‘সন্দেহজনক’ বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রায় ২৩ হাজার টনের গুপ্তচর জাহাজ ‘উয়ান ওয়াং-৫’-এ উপগ্রহ এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে নজরদারির জন্য আধুনিক সেন্সর রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিযুক্ত এই নজরদারি জাহাজ ভারতের নিরাপত্তায় বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ভারতের আপত্তি উড়িয়ে গত অগস্টে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর ভিড়েছিল ‘উয়ান ওয়াং-৫’। যা নিয়ে সেই সময় কলম্বোকে ‘সতর্ক’ করেছিল নয়াদিল্লি। চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ ৭৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সে সময় তামিলনাডুর কালপক্কম, কুডানকুলাম-সহ বিভিন্ন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে ওই জাহাজ শ্রীলঙ্কা উপকূল থেকে এসেছিল বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।