China

পরিকাঠামো, সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন

চিত্র বলছে, ফিঙ্গার ফোর থেকে আট পর্যন্ত যে অস্থায়ী পরিকাঠামো গত এক বছরে চিন গড়ে তুলেছিল তার কোনও অস্তিত্ব আর নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১৩
Share:

লাদাখের প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৬ এলাকা থেকে চিনার সেনা ও পরিকাঠামো সরানোক ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। ছবি—রয়টার্স।

লাদাখের প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার এলাকা থেকে সেনা ও পরিকাঠামো সরানোর ছবি এ বার ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রেও। চিত্র বলছে, ফিঙ্গার ফোর থেকে আট পর্যন্ত যে অস্থায়ী পরিকাঠামো গত এক বছরে চিন গড়ে তুলেছিল তার কোনও অস্তিত্ব আর নেই। সীমান্তের সাফল্য নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “সীমান্তের পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যায় ভারতের আত্মবিশ্বাস।”

Advertisement

বুধবার থেকে ফিঙ্গার আটে নিজেদের এলাকায় ফিরে যাওয়া শুরু করেছে চিন সেনা— গত কাল এমন একটি ভিডিয়ো সামনে আনে কেন্দ্র। এ বার প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে গত কালের তোলা একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ওই জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় কয়েক দিন আগেও যে সেনা পরিকাঠামো, বাঙ্কার, সেনা ট্রাক, জেটি, স্পিড বোট ছিল, তার কিছুই আর নেই। গত এপ্রিলে প্যাংগং লেকের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং ফিঙ্গার চার থেকে আটের দখল নেয় চিনা সেনা। সে সময়ে ফিঙ্গার পাঁচ এলাকায় জলাশয়ের ধাঁর ঘেঁষে ওই এলাকা যে তাদের, তা দাবি করে একটি মানচিত্র এঁকেছিল সে দেশের সেনা। মান্দারিন ভাষায় সে দাবি লিখেও রেখেছিল চিন। কিন্তু চুক্তি মেনে নিজেদের এলাকায় ফিরে যাওয়ার সময়ে সেই ছবি-লেখাও মুছে দিয়েছে চিনা সেনারা। এ ছাড়া ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশলগত এলাকায় যে অস্থায়ী সেনা শিবির, রসদ রাখার গুদাম, মিলিটারি ট্রাক দাঁড় করানো ছিল, উপগ্রহ চিত্রে সে সব কিছুই ধরা পড়েনি। প্যাংগং লেকে নজরদারি চালানোর জন্য একাধিক জেটি ও স্পিড বোট গত এক বছর ধরে মোতায়েন রেখেছিল চিন। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে সবও।

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদে বিবৃতি দিলেও, এত দিন এ বিষয়ে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আজ তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের ভারত আত্মবিশ্বাসে ফুটছে। সীমান্তে যা আমরা দেখতে পাচ্ছি।” এর বেশি বাক্য ব্যয় করেননি মোদী। কিন্তু গত এক বছর ধরে চলা সীমান্ত বিবাদে যেখানে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী চিনের নাম নেননি, সেখানে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর ওই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য ওই চুক্তিতে চিনের কাছে জমি ছেড়ে পিছিয়ে আসার অভিযোগ করেছে। তবে সাউথ ব্লকের কর্তাদের মতে, লাদাখের বিষয়টি শুধু সামরিক শক্তি প্রদর্শনে সীমাবদ্ধ ছিল না। গত দশ মাস ধরে ভারত যে ভাবে সামরিক, আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঝেছে, তার পরিণামেই পুরনো অবস্থান থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছে চিন সেনা। এটাকে তাই সাফল্য বলে দাবি করাই যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement