চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
তিন বছর পরে, ২০২৬ সালে জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব ফের আমেরিকা নেবে বলার পরে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আপত্তি তুলল চিন। তাদের সমর্থন করল রাশিয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিদের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জি২০-ভুক্ত দেশগুলির সভাপতিত্ব প্রতি বছর বদল হয়। গত বছর ভারত এই পদটি পায়। চলতি বছরে, সভাপতি পদটি যাচ্ছে ব্রাজ়িলের কাছে। তার পরের বছর পদটি যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকা জানিয়েছে, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির মধ্যে তিনটি দেশ (ভারত-ব্রাজ়িল-দক্ষিণ আফ্রিকা) পরপর তিন বছর এই সভাপতি পদ পেয়েছে। ২০২৬ সালে জি২০-র সভাপতি হিসেবে আমেরিকা পরবর্তীসম্মেলন করবে।
আমেরিকার সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার গত কাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ব্রিকসের তিন গণতান্ত্রিক সদস্য দেশ (ভারত-ব্রাজ়িল-দক্ষিণ আফ্রিকা) চলতি এবং পরবর্তী দু’টি জি২০-র সভাপতিত্ব পাচ্ছে। তারা যেমন এই গোষ্ঠীর সাফল্য চায়, তেমনই সাফল্য চায় আমেরিকাও। এই তিনটি দেশের পালা শেষ হলে ২০২৬ সালে আমেরিকা ফের জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করবে।’’
আর এখানেই আপত্তি তুলেছে চিন। সূত্রের খবর, চিন জানিয়েছে, এ নিয়ে তাদের আপত্তি নথিভুক্ত করা হোক। কিন্তু কেন তাদের আপত্তি, তা নিয়ে কোনও বক্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরুর পর থেকে প্রতি বছর একজন করে সদস্য দেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করে। আমেরিকা ২০০৮ সালে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বন্ধু’ চিনের এই আপত্তিকে সমর্থন করেছে রাশিয়াও।
এমনিতেই চলতি জি২০ সম্মেলনে চিন নানা ভাবে আমেরিকার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর। তাইওয়ান প্রশ্নে সেই বিরোধ বেড়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে যোগ না দিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। আসেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তার মধ্যেই ২০২৬ সালের সভাপতিত্ব নিয়ে সদস্য দেশগুলির মধ্যে এমন বিরোধ অস্বস্তি বাড়িয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের দাবি। হোয়াইট হাউসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তারা এখনও কোনও জবাব দেয়নি বলে জানা গিয়েছে।