জিনোরিন
নামে চকলেট। কিন্তু মুখে দিলেই জ্বলে যাবে ব্রহ্মতালু পর্যন্ত। অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডে মেলা ভোট জলকিয়া এশিয়ার সব চেয়ে ঝাল লঙ্কা। সেই লঙ্কা দিয়ে হাতি তাড়ানো গ্রেনেড তৈরি হত। এখন তৈরি হচ্ছে ঝাল চকলেট। মণিপুরের উখরুল জেলার এক তরুণী ও তাঁর সঙ্গী মিলে তৈরি করে ফেলেছেন ভোট লঙ্কার এই চকলেট কারখানা।
টাংখুল নাগা জনজাতি অধ্যূষিত উখরুল জেলা অনেক রক্তপাত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সাক্ষী। এখনও সেখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘটছে নাশকতা ও বিস্ফোরণের ঘটনা। কিন্তু সে সব থেকে দূরে, গ্রামের মেয়েদের স্বনির্ভর করতে ও নতুন কিছু করে দেখানোর নিজস্ব তাগিদে বন্ধু লিওলান ভাসুমের জিনোরিন স্টিফেন আংকং গড়েছেন ‘হিল ওয়াইল্ড’ সংস্থা। এক শেফ বন্ধুর কাছ থেকে চকলেট তৈরি শিখেছিলেন ২৫ বছরের জিনোরিন। পরে স্থানীয় লঙ্কা আর কুমড়োর বীজ রোস্ট করে কোকোর সঙ্গে মিশিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চিলি চকলেট তৈরি করেন তিনি। তাতেই বাজিমাত।
জিনোরিন জানান, ধমনীতে সুষম রক্ত চলাচল, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোখা ও পেটের রোগ দূর করার ওষধি গুণ রয়েছে এই ভোট জলকিয়া লঙ্কায়। পুণে থেকে আমদানি করা কোকোর সঙ্গে সেই লঙ্কা মিশিয়ে তৈরি হয় তাঁদের ‘কিং চিলি চকলেট বার’। মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও অসমে সেই চকলেট পাঠানো শুরু করেছেন তাঁরা। চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এখন তাঁরা মাসে আট থেকে দশ হাজার ‘চকো বার’ তৈরি করেন। চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন বাড়ানোর কথাও ভাবছেন তাঁরা। এবং এর জন্য কৃষকদের জোটবদ্ধ করতে নেমেছেন জিনোরিন।
ভোট জলকিয়া বা কিং চিলি এক সময় বিশ্বের সব চেয়ে ঝাল লঙ্কা ছিল। পরে ‘ত্রিনিদাদ স্করপিওন’ ও বর্তমানে ‘ক্যারোলিনা রিপার’ তার আসন কেড়ে নিয়েছে। এখন চকলেটের হাত ধরে আবার তার উত্থান।