দেওয়াল ভেঙে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। ছবি: পিটিআই
প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া দেওয়ালের চাঙড় সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করছেন উদ্ধারকারীরা। চাপা পড়লে কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকেই ক্ষীণ কণ্ঠে ভেসে আসছে ‘মুঝে বাহার নিকালো’। এমনই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকলেন উত্তর মুম্বইয়ে দেওয়াল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছে মুম্বই শহর।জনজীবন বিপর্যস্ত।তার মধ্যেই উত্তর মুম্বইয়ের পিমপ্রিপাড়া এলাকায় দেওয়াল ভেঙে তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। সেই ঘটনায় উদ্ধারে গিয়েই এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় উদ্ধারকারীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আরও কেউ চাপা পড়েছে কিনা, তা খোঁজার চেষ্টা চলছিল।তখনই এক জন ওই বালিকার আওয়াজ শুনতে পান। তার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘রাত ২টো নাগাদ ওই দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তখনই চাপা পড়ে সে। কিন্তু উদ্ধারকারী দল না আসা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। আর উদ্ধারকারী দল যখন পৌঁছেছে, তখন শুধু একটা কথাই বারবার বলে যাচ্ছিল, ‘মুঝে বাহার নিকালো’। আর মাঝে মধ্যে জল চাইছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওই ভাবে আটকে থাকায় শেষের দিকে তার গলার স্বরও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল।’’
আরও পডু়ন: দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ১৬, বন্ধ মূল রানওয়ে, ছুটি ঘোষণা, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী
আরও পডু়ন: কার ছেলে না দেখে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত, আকাশ বিজয়বর্গীয় কাণ্ডে বললেন মোদী
বালিকার আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি ওই এলাকার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা যায়, এলাকারই বাসিন্দা ওই বালিকার নাম সঞ্চিতা নালাওয়াড়ে। উদ্ধারের পর সঞ্চিতা শুধু জানিয়েছে, রাত ২টো থেকেই ওই ভাবে আটকে ছিল এবং উদ্ধারের আর্তি জানাচ্ছিল।