স্বামীদের ছাড়াতে অসমের থানায় চড়াও হল নাবালিকারা। ছবি: টুইটার।
এক দল নাবালিকা। কারও আবার কোলে রয়েছে শিশু। কারও সঙ্গে রয়েছে কোনও প্রবীণা। সকলে মিলে চড়াও হয়েছেন অসমের ধুবরির এক থানায়। দাবি, তাদের স্বামীদের ছেড়ে দিতে হবে। অসমে নাবালিকার বিয়ে রুখতে গ্রেফতারি চালিয়েছে পুলিশ। এ বার সেই ধৃতদের স্ত্রীরাই চড়াও হন থানায়। তাদের সরাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।
শনিবার ধুবরির তামাবিল থানায় চড়াও হয় ধৃতদের স্ত্রীরা। অনেকের কোলে ছিল শিশুসন্তান। কারও সঙ্গে আবার ছিলেন তাদের মা বা শাশুড়ি। দাবি তোলেন, স্বামীদের ছেড়ে দিতে হবে। থানার ফটক বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন তাঁরা। রাস্তা অবরোধ করেও বসে পড়েন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মহিলাদের সরানো হয়।
অসম পুলিশের আইজি (আইন এবং শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার ভুয়ান বলেন, ‘‘তামাবিল থানায় কয়েক জন আসেন। তাদের সরাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।’’ শুধু ধুবরি নয়, অসমের বেশ কিছু থানায় একই ঘটনা হয়েছে। যদিও কোথাও কেউ হতাহত হননি।
নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে অসমে ধরপাকড় করছে সরকার এবং পুলিশ। গ্রেফতার করা হচ্ছে নাবালিকাদের স্বামীকে। শনিবার ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২,২৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘এক জন প্রাপ্তবয়স্ক নাবালিকাকে বিয়ে করলে তা ধর্ষণের শামিল। সেই কিশোরী কী কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায়, আমরা কি বোঝার চেষ্টা করেছি? আমি কি আমার মেয়েকে ১২-১৩ বছরে বিয়ে দেব? ভবিষ্যতে লক্ষ লক্ষ নাবালিকাকে বিয়ের থেকে রক্ষা করতে একটা প্রজন্মকে কষ্ট ভোগ করতেই হবে। তাঁদের(ধৃত) প্রতি আমাদের কোনও সমবেদনা নেই। নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে গ্রেফতারি চলবেই।’’