তিন দিন ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন চিকিৎসকেরা। প্রতীকী ছবি।
ভোজের আয়োজন চলছিল। উনুন থেকে গামলা ভর্তি পায়েস সবে নামিয়ে রাখা হয়েছিল খাওয়া দাওয়া করার জায়গাটিতে। ঢাকা দেওয়ার সময়ও পাননি রাঁধুনি। হঠাৎই খেলতে খেলতে সেখানে হাজির হয় এক শিশু। কিছু বুঝে ওঠার আগেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায় পায়েস ভর্তি গামলার ভিতরে! গত শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছিল ওড়িশার নুয়াপাড়ায়। সোমবার ওড়িশার হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
গত তিন দিন ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গরম পায়েসের পাত্রে প্রায় ডুবে যাওয়ায় শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল শিশুটির।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির বয়স ৪ বছর। তার বাবা ওড়িশার নুয়াপাড়ার রানিমুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা। নাম হুতেশকুমার হার্না। গত শুক্রবার হুতেশদের পাড়ায় খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। রান্না যেখানে হচ্ছিল তার কাছেই খেলা করছিল শিশুটি। তাকে গরম পায়েসের হাঁড়িতে পড়ে যেতে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাড়া প্রতিবেশীরা। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
শনিবারই ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে গায়ে ভোগের গরম ডাল চলকে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন মন্দিরের দুই সেবাইত। তাঁরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার কিছুটা একই ধরনের ঘটনায় ৪ বছরের শিশুটির মৃত্যু হল। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গ্রাম জুড়ে।