সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
অযোধ্যা মামলা হোক, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ বা রাফাল—রাজনৈতিক স্পর্শকাতর মামলা হলে আর সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মামলার শুনানিতে আজও সুপ্রিম কোর্টে একই পরিস্থিতি তৈরি হল। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে।
এমনিতেই সিএএ-র পক্ষে-বিপক্ষে ১৪৪টি মামলা জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। দুঁদে আইনজীবীরা নেমেছেন মামলায়। তাঁদের সঙ্গে সহকারী আইনজীবীরা। উৎসাহী আইনজীবীরাও রয়েছেন। হাজির সাংবাদিক, সমাজকর্মীরাও। দরজা বন্ধ করাই মুশকিল। শীতকাল বলে ফ্যানও বন্ধ। সব মিলিয়ে দমবন্ধ অবস্থা।
পরিস্থিতি দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা কয়েক জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করছি। সুপ্রিম কোর্ট ভবনে হাওয়া চলাচল, লোকজনের যাওয়া-আসা নিয়ে কথাবার্তা চলছে।’’ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, এজলাস ভিড়ে ঠাসা হলে মহিলাদের সমস্যায় পড়তে হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘পুরুষরাই বা কেন ধাক্কা খাবেন? এটা অমানুষিক।’’ দিনের কাজ চালানোর জন্য প্রধান বিচারপতি সুপারিশ করেন, এজলাসের মাঝের অংশ কিছুটা ফাঁকা রাখা হোক। আইনজীবীরা এক জন করে এসে তাঁদের বক্তব্য জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা আইনজীবীদের কী করে শৃঙ্খলা শেখাব? নিরাপত্তা কর্মীরা ভিড় সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তাতে তো আরও সমস্যা তৈরি হবে!’’