নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
ললিত মোদীর বিদেশযাত্রা নিয়ে বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে।
সুষমা-বসুন্ধরার পর এ বার ললিত নিজেই ইপিএ আমলের তিন মন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। বুধবার তিনি দাবি করেন, রাজীব শুক্ল, প্রফুল্ল পটেল এবং শরদ পাওয়ার তাঁকে ব্রিটেনের ভিসা পেতে সাহায্য করেছেন। এর ফলে যে কংগ্রেস একের পর অভিযোগের তিরে বিদ্ধ করছিল বিজেপিকে, কিছুটা হলেও এ দিন অস্বস্তিতে পড়ে তারা। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামেন খোদ চিদম্বরম।
ললিতের ভিসা সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্রিটেনের চ্যান্সেলরকে লেখা ইউপিএ আমলের চিঠি প্রকাশের দাবি তোলেন চিদম্বরম। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তখন তিনি। বছর দুয়েক আগে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্রিটেন সরকারের কাছে আবেদন করেন চিদম্বরম। ২০১৩-য় ব্রিটেনের চান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার জর্জ ওসবোর্নের সঙ্গে বৈঠকে প্রসঙ্গটি উত্থাপনও করেন তিনি। ললিতকে ভারতে প্রত্যর্পণের দাবিও জানান তখন।
আইপিএলে আর্থিক তছরুপ ও বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত শুরু করার পর ইংল্যান্ডে চলে যান প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত। আদালতের নির্দেশে তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হয়। পরে তাঁকে পর্তুগাল যাওয়ার ভিসা মঞ্জুর করা হয়। গত বছরের জুলাইতে তিনি পর্তুগাল পৌঁছন। এই বিদেশযাত্রায় সাহায্য করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে সুষমার দাবি, মোদীর স্ত্রীর শরীর খারাপ থাকায় তাঁকে মানবিক কারণে সাহায্য করা হয়। সুষমার পাশে দাঁড়ায় শাসক দল বিজেপি এবং সরকার। এর পরেই বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেস সুষমার ইস্তফা দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিও চায়।
অন্য দিকে, ললিত বিতর্কে সুষমার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের নাম। এ দিন ফের বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে কংগ্রেসের মুখপাত্র শোভা ওঝা ললিতকে সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা ও সুষমার ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন।