মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভূপেশ বাঘেল। —ফাইল চিত্র
আইপিএস বদলি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর টুইট ট্যাগ করে মমতার সুরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাঘেলের তোপ, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সঙ্কটের মুখে। আইপিএস অফিসারদের বদলি অত্যন্ত আপত্তিজনক’। বৃহস্পতিবারই মমতার সমর্থনে টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
গত ১০ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল। গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চরম সংঘাত তৈরি হয়। নড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩ আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য তাতে আপত্তি জানানোয় শেষ পর্যন্ত ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ৩ অফিসারের বদলি করে দেয় কেন্দ্র।
ওই দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে একাধিক টুইট করেন মমতা। তাতে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে লেখেন, ‘রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে ৩ আইপিএস অফিসারের বদলির সিদ্ধান্ত ১৯৫৪ সালের আইপিএস ক্যাডার আইনের বিরুদ্ধ’। তাতে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার বাঘেলের টুইট, ‘ফের সঙ্কটের মুখে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। অফিসারদের বদলি করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজ্যের অধিকার কুক্ষিগত করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবং সেটাও ভোটের আগে’।
আরও পড়ুন: অমিত সভায় বক্তৃতা করবেন মুকুল, দিলীপ এবং ‘শ্রী…’
আইপিএস অফিসারদের বদলির তীব্র আপত্তি জানিয়ে মমতা আরও লিখেছিলেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে, এই ঘটনা আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করব না। অগণতান্ত্রিক ও বিস্তারবাদী শক্তির কাছে কিছুতেই মাথা নোয়াবে না পশ্চিমবঙ্গ’। প্রায় একই সুরে বাঘেলও তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে একই লিখেছেন, ‘কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ তীব্র আপত্তিকর, ও নিন্দনীয়’।
আরও পড়ুন: এনআইএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত, মেদিনীপুর যাওয়ার আগে একাধিক কর্মসূচি
বিরোধীদের মধ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব মমতা। এমনকি, লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটকে কার্যত নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। প্রথমে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল তার পর প্রতিবেশী রাজ্যের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় মমতার অবস্থান আরও শক্তিশালী হল বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ চেহারাও ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকে।