কেদারনাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।
শুরু হয়ে গেল চারধাম যাত্রা। পুণ্যার্থীদের জন্য শুক্রবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী ধামের দরজা। সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে খুলে দেওয়া হয় কেদারনাথ ধামের দরজা। তার পর ১০টা ২৯ মিনিটে খোলা হয় যমুনোত্রী এবং দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে খোলা হয় গঙ্গোত্রী ধামের দরজা। আগামী ১২ মে সকাল ৬টা থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বদ্রীনাথ ধাম।
কেদারনাথ ধামের দরজা খোলার পর সেখানে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। প্রথম দিনই কেদারনাথ দর্শনে উপচে পড়ে ভিড়। তাপমাত্রা শূন্য থেকে ৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সেই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই শয়ে শয়ে পুণ্যার্থী চারধাম দর্শনে ভিড় জমিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কেদারনাথ থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে গৌরীকুণ্ডে ১০ হাজার পুণ্যার্থী পৌঁছেছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হরিদ্বার এবং হৃষীকেশে ১৫ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী হাজির হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চারধাম যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ২২ লক্ষ ১৫ হাজার পুণ্যার্থী। গত বছরে ৫৫ লক্ষ পুণ্যার্থী চারধাম দর্শন করেছিলেন।
গত বছর বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থী হাজির হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। তাই এ বার রাজ্য পুলিশ এবং পর্যটন দফতর প্রতি দিনের পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। পর্যটন দফতরের সচিব সচিন কুর্বে জানিয়েছেন, দিনে ১৫ হাজার পুণ্যার্থী কেদারনাথ দর্শন করতে পারবেন। ১৬ হাজার পুণ্যার্থী বদ্রীনাথ ধাম, ন’হাজার পুণ্যার্থী যমুনোত্রী ধাম এবং ১১ হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গোত্রী ধাম দর্শনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, প্রতি দিন চারধাম দর্শন করতে পারবেন ৫১ হাজার পুণ্যার্থী।
এ বার চারধাম যাত্রায় মোতায়েন থাকবে চারশোর বেশি চিকিৎসক। ২৫৬ জন মেডিক্যাল অফিসার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন। চারধাম যাত্রার জন্য এই প্রথম বার চার্টার্ড হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।