ওমর আবদুল্লা। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অধিবেশনে। ছবি: পিটিআই।
ছ’বছর পরে ফের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় অধিবেশন বসল। আর অধিবেশনের প্রথম দিনেই অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হল। সোমবার বিধানসভায় মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)-র বিধায়ক ওয়াহিদ পাররা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন। তার পরেই হইচই শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়কেরা। এমনকি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার সদ্য মনোনীত স্পিকার, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) বিধায়ক রহিম রাঠেদারও জানান, এই ধরনের প্রস্তাবকে তিনি অনুমোদন করছেন না।
অধিবেশনের শুরুতেই প্রথা মেনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা। তাঁর বক্তব্যেও উঠে আসে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আমার সরকার রাজ্যের তকমা ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করবে।” প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই কাশ্মীরের নবনিযুক্ত মন্ত্রিসভা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে ফের রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের সপক্ষে প্রস্তাব পাশ করে। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রাজ্যপালের ভাষণে। সচরাচর রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণই পাঠ করে থাকেন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাংবিধানিক প্রধানেরা। সেই রীতি মেনেই উপরাজ্যপালের বক্তব্যে ওমর আবদুল্লা সরকারের মনোভাবের প্রতিফলন ধরা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ধ্বনিভোটে রাঠেদারকে স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত করেন বিধায়কেরা। কাশ্মীরের চারার-ই-শরিফ বিধানসভা কেন্দ্রের সাত বারের বিধায়ক রাঠেদার। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের প্রসঙ্গে বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী ওমর বলেন, “বাস্তবতা এটাই যে, ২০১৯ সালে ৫ অগস্ট নেওয়া সিদ্ধান্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ সমর্থন করেনি। যদি তাঁরা সেটা করতেন, তবে আজকের এই ফলাফল অন্য রকম হত।”
প্রায় ১০ বছর পরে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। ৯০ আসনের বিধানসভায় এনসি জেতে ৪২টি আসনে। বিজেপি জয়ী হয় ২৯টি আসনে। এনসির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়া কংগ্রেস জেতে ছ’টি আসনে। আলাদা ভাবে ভোটে লড়ে পিডিপি জেতে মাত্র ৩টি আসনে। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন ওমর।