চাঁদের এই ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-৩। ছবি: টুইটার।
চন্দ্রদর্শন করে ফেলল চন্দ্রযান-৩। চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পর এই প্রথম ছবি পাঠাল ভারতের চন্দ্রযান। চাঁদের গা-ঘেঁষে থাকা অবস্থায় সেই ছবি পাঠাল ভারতীয় মহাকাশযান। রবিবার সেই ছবি টুইট করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চারদিকে অন্ধকার। তার মধ্যে ধূসর রঙের গোলক। চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো অংশ ধরা পড়েছে ছবিতে।
শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান আগেই কাটিয়ে ফেলেছিল। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর চাঁদের আকর্ষণবলের অধীনে প্রবেশ করেছে সেটি। তবে মূল গন্তব্যে পৌঁছতে এখনও অনেকটা ‘পথ’ পেরোনো বাকি। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগে বেশ কয়েকটি কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে চন্দ্রযান-৩-কে।
চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদের কক্ষপথে সফল ভাবে পৌঁছে দেওয়ার পর ইসরোর তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মোট ১৮৩৫ সেকেন্ডের চেষ্টায় তা সফল ভাবে করা গিয়েছে। চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। ঘটনাচক্রে, শনিবারই ছিল তাঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।
চন্দ্রযান-৩-এর প্রাথমিক গন্তব্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। তার পরেই চন্দ্রাভিযানের ‘সবচেয়ে কঠিন পর্ব’টি অপেক্ষা করে আছে ইসরোর জন্য। সেটাই হতে চলেছে কঠিনতম পরীক্ষা। আগামী ২৩ অগস্ট বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটের ভিতরে নিয়ে ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (সফট ল্যান্ডিং) করার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। চার বছর আগে ঠিক ওই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই অভিযান যদি সফল হয়, তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে আসবে ভারত।