জগন্মোহন রেড্ডি (বাঁ দিকে) এবং চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা তথা চন্দ্রবাবু নায়ডুর পুত্র নারা লোকেশ। রবিবার ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতার প্রধানের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ তুলে চন্দ্রবাবু-পুত্রের দাবি, নিজের কাকা বিবেকানন্দ রেড্ডিকে খুন করেছেন জগন। একই সঙ্গে লোকেশ দাবি করেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাঁর বাবা চন্দ্রবাবুকে ৫৩ দিনের জন্য জেলে ভরেছিলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার রাজ্যের শ্রীকাকুলাম জেলার একটি জনসভা থেকে চন্দ্রবাবুর পুত্র বলেন, “জগন রেড্ডি নিজের কাকাকে খুন করেছেন।” তার পরই জগনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি জগন রেড্ডিকে প্রশ্ন করতে চাই, উনি কি রাজ্যটাকে শেষ করতে প্রস্তুত?” প্রসঙ্গত, সম্পর্কে জগনের কাকা ওয়াইএস বিবেকানন্দ রেড্ডি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে অন্ধ্রের কাডাপা জেলায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে।
যদিও লোকেশের অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি জগনের দল। চলতি বছরে লোকসভা ভোটের সঙ্গে অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই জগনের বোন শর্মিলা কংগ্রেস যোগ দিয়ে সে রাজ্যের সাংগঠনিক প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যাকে সামনে রেখে কংগ্রেস এ বার জগনের দলের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
এই আবহেই জল্পনা ছড়িয়েছে যে, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রায় ছ’বছর পরে এনডিএ শিবিরে শামিল হতে চলেছেন চন্দ্রবাবু। তার পরেই গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জগনও। চন্দ্রবাবুর এনডিএ-তে যাওয়া রুখতেই জগনের দিল্লি সফর কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানান, তাঁর রাজ্যের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন তিনি।