National News

‘বাড়ি খালি করুন’, চন্দ্রবাবুকে নোটিস দিল জগনমোহনের সরকার

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল, কৃষ্ণা নদীর ধারে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে। এ দিন চন্দ্রবাবুর বিশাল বাংলোর পাঁচিলে ওই নোটিস সাঁটিয়ে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাপিটাল রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এপিসিআরডিএ)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমরাবতী (অন্ধ্রপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ২০:০৭
Share:

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।

দিন দুয়েক আগেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর বিলাসবহুল প্রশাসনিক ভবন। এ বার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর বাংলো বাড়িও ভেঙে ফেলার নোটিস দিল জগনমোহন সরকার। রাজ্য সরকারের দাবি, কৃষ্ণা নদীর ধারে ওই বাংলোটি বেআইনি ভাবে গড়ে উঠেছে। ফলে চন্দ্রবাবুকে হয় ওই বাংলো খালি করতে হবে নতুবা আগামী সাত দিনের মধ্যে সরকারি নোটিসের জবাব দিতে হবে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল, কৃষ্ণা নদীর ধারে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে। এ দিন চন্দ্রবাবুর বিশাল বাংলোর পাঁচিলে ওই নোটিস সাঁটিয়ে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাপিটাল রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এপিসিআরডিএ)। চন্দ্রবাবু-সহ মোট কুড়িজন মালিককে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছেন এপিসিআরডিএ কর্তৃপক্ষ।

কৃষ্ণা নদীর ধারে প্রায় ছ’একর জমির উপর রয়েছে চন্দ্রবাবুর ওই বিলাসবহুল বাংলোটি। গত চার বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে সেখানে বসবাস করছিলেন চন্দ্রবাবু। এ দিনের নোটিসে জানানো হয়েছে, ওই বাংলোর একতলা, একটি সুইমিং পুল, হেলিপ্যা়ড, দোতলা এবং ১০টি অস্থায়ী ছাউনি— এ সমস্তই কৃষ্ণা নদীর ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। এবং এগুলি বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ছেলের ব্যাট, বাবার জুতো! কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও পিটিয়েছিলেন আধিকারিককে? ২৫ বছর আগের ছবি ভাইরাল

আরও পড়ুন: শুকোচ্ছে চেন্নাই, কিন্তু জল নিয়ে ‘নো’ চিন্তা এই ব্যক্তির, কেন জানেন?

চন্দ্রবাবুকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্র্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি। সরকারের দাবি, সেই প্রতিশ্রুতির অঙ্গ হিসাবে বেআইনি ভাবে নির্মিত চন্দ্রবাবুর প্রশাসনিক ভবন ‘প্রজা বেদিকা’ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল চন্দ্রবাবুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। ২০১৭-তে ক্ষমতায় থাকার সময় ৮ কোটি ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই ভবনটি নির্মাণ করে চন্দ্রবাবু সরকার। ৪ জুন রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে ওই ভবনটিকে অক্ষত রাখার কথা জন্য অনুরোধ করেছিলেন চন্দ্রবাবু স্বয়ং। তবে সে আবেদন সাড়া দেয়নি রাজ্য সরকার। বিধনসভার বিরোধী নেতা হিসাবে ‘প্রজা বেদিকা’ থেকে কাজকর্ম চালানোর কথাও জানিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। ‘প্রজা বেদিকা’ ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে আদালতে একটি আবেদনও করা হয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, ভবন ভেঙে ফেলার কাজে যা খরচ হচ্ছে, তা আসলে সরকারি অর্থের অপব্যয়। তবে ওই ভবনটি বেআইনি ভাবে নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়ে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু’, লোকসভায় অমিত শাহর মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম

আরও পড়ুন: ন’টার মধ্যে অফিসে না ঢুকলেই কড়া শাস্তি! কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে বিজ্ঞপ্তি মুখ্যমন্ত্রী যোগীর

গোটা ঘটনাতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ করেছে টিডিপি। জগনমোহনের বিরুদ্ধে সরব হন চন্দ্রবাবু। তাঁর মতে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করাটা বোকামি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন,‘‘রাজ্যে বহু মূর্তিই বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।’’ জগনের বাবা তথা অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডির সেই সমস্ত মূর্তিও কি ভেঙে ফেলা হবে বলে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রবাবু। তবে টিডিপি-র আবেদন আদালত খারিজ করার পর চন্দ্রবাবুর কোনও অনুরোধেই কান দেয়নি সরকার। গত মঙ্গলবার তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement