Sedition Law

‘ঔপনিবেশিক আমলের বিধান বদলাবে’! স্থগিত হয়ে থাকা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন চালু করতে সক্রিয় কেন্দ্র

গত বছরের মে মাসে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্র যত দিন না পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলের এই আইনের পর্যালোচনা শেষ করছে, তত দিন এই আইন প্রয়োগ করে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৬:৩৮
Share:

ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পর্যালোচনার কাজ চলছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়ে থাকা ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন খোলনলচে বদলে আবার চালু করতে সক্রিয় হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ঔপনিবেশিক আইনের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারা এবং সাজার বিধানগুলি পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্র।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালার বেঞ্চ সোমবার এই মামলার শুনানি স্থগিত করেছে। তার আগে এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা বিভিন্ন ধারাগুলি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’’ ঔপনিবেশিক জমানার বিধানগুলির প্রয়োজনীয় বদল করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ১২৪ ধারা অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে সরকারি নীতির বিরোধিতাও ‘রাষ্ট্রদ্রোহের সমতুল্য অপরাধ’ হিসাব গণ্য হতে পারে। অতীতে ব্রিটিশ জমানার এই ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালতও। গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, ‘যত দিন না পর্যন্ত কেন্দ্র ঔপনিবেশিক জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা না করছে, তত দিন স্থগিত থাকবে এই আইনের প্রয়োগ। কোনও রাজ্য সরকারের পুলিশও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement