PM Narendra Modi

‘শত্রু সম্পত্তি’ চিহ্নিত করার উদ্যোগ ত্রিপুরায়

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ শত্রু সম্পত্তি নিয়ামক শাখার (কাস্টডিয়ান অব এনিমি প্রপার্টিজ়) আধিকারিকেরা ত্রিপুরায় গিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

Advertisement

বাপী রায়চৌধুরী

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৪
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

ত্রিপুরায় শত্রু সম্পত্তি চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। দেশভাগের সময়ে সম্পত্তি ফেলে পাকিস্তানে চলে যেতে হয় অনেককে। সেই সম্পত্তির একাংশ ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যাঁরা আইন মেনে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন তাঁদের সম্পত্তি ওই আইনের অধীনে বিবেচ্য নয়।

Advertisement

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ শত্রু সম্পত্তি নিয়ামক শাখার (কাস্টডিয়ান অব এনিমি প্রপার্টিজ়) আধিকারিকেরা ত্রিপুরায় গিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাঁরা শত্রু সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করে রয়েছে‌ন তাঁরা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন। বৈঠক ও শুনানির বিবরণ অনুযায়ী, শত্রু সম্পত্তি বিশেষত চা বাগানের হাতে থাকা বড় সম্পত্তি চিহ্নিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ, শত্রু সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ দখলে আনতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। শুনানির পরে ঊনকোটি জেলার রাঙরুং চাবাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ এক তৃতীয়াংশ জমি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন। সারা রাজ্যে মোট ৬৩৫১.৮৯ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

শত্রু সম্পত্তি নিয়ামকের এই সক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন ওই সম্পত্তিতে বসবাসবাসকারী অনেক পরিবার। দেশভাগের সময়ে থেকে বিনিময়ের মাধ্যমে ওই সম্পত্তি দখল করেছিলেন অনেকে। অনেক ক্ষেত্রে দলিল নেই। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম জেলার জেলাশাসক বিশাল কুমারের বক্তব্য, ‘‘এই আশঙ্কা সম্পূর্ণ অমূলক। আমরা কাউকে উৎখাত করব না।’’ গত বছরে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ত্রিপুরায় শত্রু সম্পত্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement