ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সমাজমাধ্যম ‘এক্স’-এর মামলায় হলফনামা দিল কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সমাজমাধ্যম সংস্থা এক্স (সাবেক টুইটার)-এর বিরুদ্ধে এ বার আদালতে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। কর্নাটক হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, অনলাইনে বিষয়বস্তুর উপর একতরফা কাটছাঁট (সেন্সরশিপ) নিয়ে যে উদ্বেগ ওই সমাজমাধ্যম সংস্থা জানিয়েছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই। আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকারের ‘সহযোগ পোর্টাল’কে একটি ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে এক্স। এই ধরনের শব্দবন্ধ ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয় বলেও হলফনামায় জানিয়েছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাই কোর্টে একটি মামলা করে ইলনের মালিকানাধীন সংস্থা। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি নির্দিষ্ট ধারাকে কেন্দ্র যে ভাবে ব্যাখ্যা করছে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ‘এক্স’-এর। এর মাধ্যমে অনলাইনে স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশের অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মাস্কের সংস্থার। ওই মামলার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র।
‘এক্স’-এর অভিযোগ মূলত কেন্দ্রের ‘সহযোগ পোর্টাল’ নিয়ে। এই পোর্টালটি তৈরির উদ্দেশ্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং সমাজমাধ্যমের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করা এবং একটি সুরক্ষিত অনলাইন পরিবেশ তৈরি করা। ‘এক্স’-এর অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারা না-মেনেই এই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনের বিষয়বস্তু ‘ব্লক’ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, হাই কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, মামলায় বিষয়বস্তুর একতরফা কাটছাঁটের বিষয়ে ভিত্তিহীন উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যাঁরা বিষয়বস্তু পোস্ট করেন, তাঁদের অবস্থানের সঙ্গে মামলাকারী পক্ষ নিজেদের অবস্থান মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা আদতে নয়। ‘এক্স’-এর মতো একটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া পোর্টাল যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। হলফনামায় কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, আপাত ভাবে এই মামলায় মনে হচ্ছে, (বিষয়বস্তু পোস্টের) মাধ্যম হিসাবে তাদের উপর কোনও দায়বদ্ধতা না-নিয়ে নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি মৌলিক ভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করছে কেন্দ্র।