—প্রতীকী চিত্র।
জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা রাজ্যগুলির হাতে ধার হিসেবেই তুলে দিল কেন্দ্র। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পাবে প্রায় ৩,০৩০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ আয়ে লোকসানের প্রায় ৫০ শতাংশ এক লপ্তে ঋণ হিসেবে মিটিয়ে দেওয়া হল। আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাকি অর্থও কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলির হাতে ধার হিসেবে তুলে দেবে।
জিএসটি চালুর সময়ে ঠিক হয়েছিল, তা থেকে রাজ্যগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় না-হলে, পাঁচ বছর পর্যন্ত কেন্দ্র তা পুষিয়ে দেবে। সেস বাবদ আয় থেকে সেই ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়। কিন্তু কোভিডের ফলে সেস থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে ঋণ দিচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রের ভাঁড়ারেও টান বলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সরকারি কোষাগার থেকে ক্ষতিপূরণ মেটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্র তাই দু’বছর ও পাঁচ বছরের মেয়াদে ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে ঋণ দিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, সেস বাবদ আয় থেকে যে ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়, এই ৭৫ হাজার কোটি টাকা তার অতিরিক্ত। এই টাকা হাতে পেয়ে রাজ্যগুলির পক্ষেও কোভিডের মোকাবিলা ও অন্যান্য কাজকর্ম চালানো সহজ হবে। কিন্তু রাজ্যগুলির বক্তব্য, কেন্দ্র তাদের যে পরিমাণ জিএসটি লোকসান হবে বলে অনুমান করছে, বাস্তবে হবে তার থেকে অনেক বেশি। কেন্দ্রের অনুমান, সেস বাবদ আয়ের পরেও চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যগুলির প্রাপ্য খাতে ঘাটতি ১.৫৯ লক্ষ কোটি টাকার মতো হবে। কিন্তু বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের মতে, কেন্দ্র হিসেব কষার সময়ে অর্থনীতিতে কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কার প্রভাব ধরেনি। বাস্তবে ঘাটতি ২-৩ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে।