— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
‘স্বাস্থ্যকর পানীয়ের’ (হেলথ ড্রিঙ্ক) তালিকায় রাখা যাবে না ‘বোর্নভিটা’কে। সমস্ত ই-কমার্স সংস্থাকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলি তাদের সাইট বা প্ল্যাটফর্মে ‘স্বাস্থ্যকর পানীয়’ বিভাগে বোর্নভিটা বা এই ধরনের পানীয়কে আর রাখতে পারবে না। চিনির মাত্রা বেশি থাকাই এর কারণ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০০৫ সালের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (সিপিসিআর) আইনের তিন নম্বর ধারায় তৈরি করা হয় শিশু অধিকার রক্ষাকারী জাতীয় কমিশন (এনসিপিসিআর)। তারা সিপিসিআর আইনের ১৪ নম্বর ধারায় একটি তদন্ত করে। তার পর জানায়, খাদ্য সুরক্ষা এবং নিয়ামক (এফএসএস) আইন (২০০৬) অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কোনও সংজ্ঞা নেই। এনসিপিসিআর তদন্তে এ-ও দেখে যে, বোর্নভিটায় রয়েছে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত চিনি।
এর আগে, যে সব সংস্থা পাওয়ার সাপ্লিমেন্টকে ‘হেলথ ড্রিঙ্ক’ বলছে এবং তা তৈরির ক্ষেত্রে নির্দেশিকা, সুরক্ষাবিধি মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য এফএসএসআইকে নির্দেশ দিয়েছিল এনসিপিসিআর। যদিও এ দেশের খাদ্য আইনে ‘স্বাস্থ্যকর পানীয়ের’ কোনও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। চলতি মাসের শুরুতে এফএসএসআই সমস্ত অনলাইন বিপণন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল, তারা যে সব পণ্য বিক্রি করছে, সে সবের যেন সঠিক শ্রেণিকরণ করা হয়। দুধজাত বা শস্যজাত পানীয়কে ‘হেলথ ড্রিঙ্ক’ বলে চালানো যাবে না।
সম্প্রতি ইউটিউবে এক ভ্লগার বোর্নভিটার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এর উপকরণগুলি স্বাস্থ্যকর নয়। এতে রয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি, কোকো, ক্ষতিকর রং। তার পরেই বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আসে বলে মনে করা হচ্ছে।