প্রতীকী ছবি।
এক গুচ্ছ চিনা অ্যাপ বাতিলের পরে এ বার বেজিংয়ের সাইবার হানায় বাঁধ দিতে চেষ্টার ছাপ টেলি যোগাযোগের জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকাতেও।
বুধবার সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিক হয়েছে, মোবাইল, টেলিযোগাযোগ পরিষেবা সংস্থাগুলির যন্ত্রাংশ কেনার জন্য ‘বিশ্বস্ত’ পণ্য ও তাদের সরবরাহকারী সংস্থার তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারি সূত্রে খবর, চিন ও অন্যান্য দেশের থেকে ক্রমাগত সাইবার-হানা এবং সেই সূত্রে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়িয়ে দেশের ব্যাঙ্ক, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিশ্বের যে তিনটি দেশ সব থেকে বেশি সাইবার-হানার শিকার, তার অন্যতম ভারত। ২০১৯ সালে প্রায় ৪ লক্ষ সাইবার হানা সামলাতে হয়েছে ভারতের ‘সাইবার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ ওরফে সার্ট-ইনকে। শুধু এর জেরে দেশে প্রায় ১.২৪ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৫-জি পরিষেবার ক্ষেত্রেও চিনের কিছু সংস্থা যন্ত্রাংশ জোগানোর নামে আড়ি পাতার চেষ্টা করতে পারে বলে সংশয় তৈরি হয়।
টেলি যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘কোন কোন বিশ্বস্ত পণ্য এবং কোন বিশ্বস্ত জায়গা থেকে যন্ত্রাংশ কেনা যাবে, তার তালিকা তৈরি করতে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষ তৈরি হবে। উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এর প্রধান হবেন। এই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, শিল্পমহল ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞেরা থাকবেন।’’ তবে এখন যে সব পণ্য ব্যবহার হচ্ছে, সেখানে বদল হবে না, জানান তিনি।