—প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড়, প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকলে আগে থেকেই জনগণকে সতর্ক করে দেয় রাজ্য সরকার। ঠিক সে ভাবেই গরমকালে, বিশেষ করে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাময় দিনগুলিতেও আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা চাইছে কেন্দ্র। তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচার কী উপায়, তাপপ্রবাহের শিকার হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত, অন্যথায় যে প্রাণহানি হতে পারে, সে বিষয়ে লাগাতার প্রচার চালানোর জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে তারা।
উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহের কারণে একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। গরম বাতাস বা লু লেগে হিট স্ট্রোকের কারণে অসুস্থ হয়েছেন আরও বহু। এই আবহে প্রবল তাপপ্রবাহের শিকার সাতটি রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়) স্বাস্থ্য ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। তিনি বলেন, মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন তাপপ্রবাহের বিষয়ে রাজ্যগুলিতে সতর্ক করা হয়। সেই সতর্কতা রাজ্য প্রশাসন আমজনতা পর্যন্ত পৌঁছে দিক। যাতে মানুষ ঘর থেকে বার হওয়ার আগে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, জানতে পারেন।
আজকের বৈঠকে তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের কথা বলেন মাণ্ডবিয়া। কোনও ব্যক্তি তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কি না, তা যাতে গোড়াতেই ধরা যায়, এমন প্রশিক্ষণে জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে হিট স্ট্রোকের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া বা মৃত্যুর যে ঘটনাগুলি ঘটছে, তার বিস্তারিত বিবরণ সুসংহত স্বাস্থ্য তথ্য প্ল্যাটফর্মে (আইএইচআইপি) নথিভুক্ত করার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরির জন্য যথেষ্ট তথ্য থাকে মন্ত্রকের হাতে।