Concrete Houses

পাকা ছাদ নেই কত, জানতে চায় কেন্দ্র

গত দশ বছরে কাজের খোঁজে গ্রাম ও জনপদ থেকে বড় শহরগুলিতে আসা মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২০২২ সালে। ওই বছরের মধ্যে দেশের সব নাগরিকের পাকা ঘরের স্বপ্ন পূরণে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই এই মুহূর্তে দেশের কত জন মানুষের মাথায় পাকা ছাদ নেই তা জনগণনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিতে চাইছে কেন্দ্র। দিল্লিতে হওয়া জনগণনা সংক্রান্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও সেন্সাস ডিরেক্টরদের বৈঠকে বস্তি সংক্রান্ত তথ্য গুরুত্ব সহকারে সংগ্রহের উপরে জোর দিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার অফ ইন্ডিয়া (আরজিসিসিআই)। বলা হয়েছে, নগরান্নোয়ন পরিকল্পনার জন্য বস্তি সংক্রান্ত তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

দশ বছর আগের জনগণনা অনুযায়ী দেশের প্রায় ৬.৫৫ কোটি মানুষ বস্তিতে বাস করেন। গত দশ বছরে কাজের খোঁজে গ্রাম ও জনপদ থেকে বড় শহরগুলিতে আসা মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে। যাঁদের অধিকাংশের ঠিকানা হয়েছে শহরের ঘিঞ্জি বস্তিগুলিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দশ বছরে গ্রামীণ এলাকার বড় অংশের মানুষের কৃষিতে উৎসাহ হারানো স্থানান্তরের বড় কারণ। রুজির খোঁজে শহরে এসে সেই কৃষকেরা শেষে ঠিকা শ্রমিকে পরিণত হন। শহরগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যার ওই বৃদ্ধি অস্বাভাবিক চাপ ফেলেছে পরিকাঠামোর উপরে। আরজিসিসিআই-র মতে, অধিকাংশ রাজ্যের কাছেই এ সব শহুরে গরিবদের থাকবার জন্য তুলনায় কম দামের বাসস্থান দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। যাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। সেই কারণে গোটা দেশের শহরে বসবাসকারী গরিবদের স্পষ্ট চিত্রটি বুঝতে চলতি জনগণনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।

আরজিসিসিআই-এর মতে, যে কোনও শহরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে বস্তি বা ঝোপড়ি। সেই শহরের অর্থনীতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। তাই ওই মানুষগুলির দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উন্নতি ও তাঁদের পুনর্বাসনের পিছনে জনগণনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই বৈঠকে বিশেষ ভাবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, কোনও বস্তির আয়তন যত ছোটই হোক না কেন, কোনও ভাবে তা যেন সাধারণ বাড়ির সঙ্গে মিশিয়ে না ফেলা হয়। প্রত্যেকটি বস্তিকে আলাদা করে উল্লেখ করে সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির সম্পূর্ণ তথ্য রাখার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে আরজিসিসিআই জানিয়েছে, কোনও আলাদা বা অতিরিক্ত প্রশ্ন রাখা হচ্ছে না বস্তির বাসিন্দাদের জন্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement