‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ফাইল চিত্র।
চিনে আবার চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে দেশে নতুন করে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য আগাম সতর্কতা নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই আবহেই রাহুল গান্ধী এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়। চিঠিতে তিনি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় করোনাবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তা করা না গেলে আপাতত এই পদযাত্রা বন্ধ করা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় অংশগ্রহণকারী সকলকে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, শুধু মাত্র কোভিডের প্রতিষেধক নেওয়া ব্যক্তিরাই যাতে এই পদযাত্রায় শামিল হন, তা নিশ্চিত করতে হবে সংগঠকদের।
প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছু দিন আগেই শূন্য কোভিডনীতি শিথিল করেছিল চিনের প্রশাসন। তার পরই সে দেশে হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধু চিনই নয়, কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলিতেও। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লিখে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই প্রক্রিয়ায় ভাইরাসের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট জনসমষ্টির মধ্য ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ছড়়িয়েছে। বহরমপুরের সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাতে প্রধানমন্ত্রী যখন প্রচার করছিলেন তখন কোনও করোনাবিধি অনুসরণ করা হয়েছিল কি না। একই সঙ্গে তাঁর বক্রোক্তি, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যকে সহ্য করতে পারছেন না।” পদযাত্রা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই তিনি এ সব করছেন বলে দাবি অধীরের। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ৮টি রাজ্য পেরিয়ে বুধবারই হরিয়ানায় প্রবেশ করেছে।