প্রতীকী ছবি।
বাজেটে ঘোষণা হয়েছিল, সব ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ডে বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমার ক্ষেত্রে সুদে কর ছাড় মিলবে। আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সেই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করলেন। কিন্তু শর্ত দিলেন, যেখানে নিয়োগ সংস্থা প্রভিডেন্ট ফান্ডে কোনও টাকা জমা করছে না, সেখানেই একমাত্র এই সুবিধা মিলবে। কর বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাত্র সরকারি কর্মচারীরাই এর ফলে লাভবান হবেন।
প্রভিডেন্ট ফান্ডে এত দিন পর্যন্ত যে কোনও পরিমাণ অঙ্কের টাকা জমার ক্ষেত্রেই সুদে পুরোপুরি ছাড় মিলত। সাধারণত কর্মীদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ-এ জমা পড়ে। নিয়োগকারী সংস্থার থেকেও ১২ শতাংশ কর্মীর পিএফ-এ জমা পড়ে। বিনা সুদে তহবিল থেকে টাকা তোলার সুযোগের জন্য অনেক কর্মীই নির্দিষ্ট ১২ শতাংশের বেশি অর্থ পিএফ-এ জমা করতেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বাজেটে ঘোষণা করেন, নতুন অর্থ বছরের ১ এপ্রিল থেকে বছরে পিএফ-এর জমা ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে, তার উপরে সুদ বাবদ আয়ে কর ছাড় মিলবে না। যুক্তি ছিল, উচ্চবিত্ত বেতনভোগীরা কর ছাড়ের সুবাদে বিপুল টাকা পিএফ-এ জমা করছেন। সে কারণেই এই পদক্ষেপ। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত বেতনভোগীদের তুলনায় উচ্চবিত্তদের কাছে পিএফ–এ টাকা জমা রাখা কম লোভনীয় হয়ে পড়ে। অর্থমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, ১০০ জনে মাত্র ১ জন এই করের আওতায় পড়বেন। ৯৯ শতাংশ কর্মীর পিএফ-এ জমা আড়াই লক্ষের কম।
আজ লোকসভায় নির্মলা বলেন, করমুক্ত পিএফ-এ জমার ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। যেখানে নিয়োগ সংস্থার দেয় নেই, সেখানে এই সুবিধা মিলবে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, যে সরকারি কর্মীরা বিধিবদ্ধ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা দেন, তারাই লাভবান হবেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বছরে ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি পিএফ-এ জমা অর্থে সুদ গুনতে হবে।