ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের মসনদ তালিবানের দখলে যাওয়ায় কাশ্মীরেও পাকিস্তানি মদতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়ানো হয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, লোলাব উপত্যকা, রাজোয়ার জঙ্গল, বান্দিপোর, কাজ়িকুন্দ, রফিয়াবাদ, নওগামের মতো কয়েকটি এলাকাকে বেছে নিয়েছেন সেনা কর্তারা। এগুলিতে সাম্প্রতিক কালে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা হয়েছে। পাশাপাশি কুলগাম, অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, কেরন, টাংধর, রাজৌরি, নৌশেরা ও পুঞ্চকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা হিসেবে। এই এলাকাগুলি দিয়ে অতীতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে।
সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অনুপ্রবেশ-রোধকারী গ্রিডে তিনটি স্তর থাকে। যে এলাকাগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সেগুলিতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখায় থাকা বেড়ায় বসানো হয়েছে ক্যামেরা ও সেন্সর। এক সেনা কর্তার কথায়, ‘‘উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। বরং মূল পরিকাঠামোকেই শক্তিশালী করা হয়েছে। যাতে ওই এলাকায় গতিবিধি সম্পর্কে সেনা আরও বেশি তথ্য পায়।’’ পাশাপাশি আকাশপথে নজরদারিও বাড়িয়েছে সেনা। নজর রাখা হচ্ছে উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গি সহযোগীদের উপরেও।
জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরে বেশ কয়েক বার জম্মু-কাশ্মীরে ছড়িয়েছে ড্রোন আতঙ্ক। সেনার মতে, হামলা চালানোর পাশাপাশি জঙ্গিদের অস্ত্র, রসদ সরবরাহ করতেও ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কোনও একটি এলাকায় ড্রোন-বিরোধী অস্ত্র বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ড্রোনের উপরে নজরদারি ও তার মোকাবিলা করা যাবে।