গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভারতে সদ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই, গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ইনস্টল করা নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিল দেশের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি)। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির মতে, একাধিক এক্সটেনশন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। হাতিয়ে নিতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নানা ব্যক্তিগত তথ্য।
গুগল ক্রোম এক্সটেনশন আসলে এক ধরনের অ্যাপ। ওই অ্যাপগুলি ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে জুড়ে কাজ করে। সুবিধা হয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর। এর মধ্যে কোনও এক্সটেনশন ব্যাকরণ বা বানান খতিয়ে দেখে। কোনও এক্সটেনশন সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে জুড়ে নানা পোস্ট দেখতে সাহায্য করে। আবার কোনও এক্সটেনশন অনলাইন সিকিউরিটি খতিয়ে দেখে।
সিইআরটি বলছে, শতাধিক এক্সটেনশন গুগল ক্রোমকে না জানিয়েই নিজের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। ওই সব অ্যাপগুলি যে কোনও মুহূর্তে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ইমেল, ব্যাঙ্কের পাসওয়ার্ড বা ভিন্ন কোনও গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। সকলের অলক্ষ্যে যে কোনও সাইটের স্ক্রিন শট নিয়ে রাখার ক্ষমতা রয়েছে ওই অ্যাপগুলির। এমনকি পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কি বোর্ডের কোন সুইচ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা-ও ধরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে সেগুলির। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির দাবি, তারা ১০০-র বেশি এমন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ বা এক্সটেনশন মুছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাধান অধরা, স্থলে-আকাশে সমানে টক্কর দিতে প্রস্তুতি বাড়াছে ভারত
ইন্টারনেটের সমুদ্রে ঘোরাফেরা করা এই ‘গুপ্তচর’দের হাত থেকে রক্ষা মিলবে কী ভাবে? সিইআরটি-র পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে এক্সটেনশন ইনস্টল করবেন না। এক্সটেনশন ইনস্টল করলে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মতামত জানতে রিভিউ খতিয়ে দেখার কথাও বলছে তারা।
আরও পড়ুন: ‘যত দিন যাচ্ছে আমার রাগ বাড়ছে’, করোনা নিয়ে ফের চিনকেই তোপ ট্রাম্পের
গুগল ক্রোমের বিভিন্ন এক্সটেনশন নিয়ে এর আগেও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। গ্রাহকদের তথ্য হাতানোর উদ্দেশ্যে গুগল ক্রোম স্টোরে বার বারই এমন বিপজ্জনক এক্সটেনশন ঢুকিয়ে দিয়েছে অ্যাপ ডেভেলপারদের একাংশ। ইন্টারনেট সার্চে সুবিধা হবে ভেবে অনেকে ওই অ্যাপগুলি ইনস্টল করে বিপদে পড়েছেন। গত জানুয়ারিতেই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে একাধিক ব্যবসায়িক এক্সটেনশন বাতিল করে দেয় গুগল। জুনে ক্রোমের ওয়েব স্টোর থেকে মুছে দেওয়া হয় ৭০টি এক্সটেনশন। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল।