School

হাসপাতাল বা স্কুলও এ বার যৌথ উদ্যোগে 

এত দিন কোনও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ (পিপিপি)-তে তৈরি পরিকাঠামো প্রকল্পকে লাভজনক করে তুলতে কেন্দ্র মোট খরচের ২০ শতাংশ বহন করত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এত দিন সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি বিমানবন্দর, হাইওয়ে, সেতুর মতো প্রকল্পকে লাভজনক করতে তুলতে সরকার টাকা ঢালত। হাসপাতাল, স্কুল, জল সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা দূষিত জল পরিশোধনের মতো সামাজিক পরিকাঠামো প্রকল্পকে লাভজনক করে তুলতে সরকার অর্থ বরাদ্দে রাজি থাকলেও, বেসরকারি সংস্থাগুলি এই সব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতে আগ্রহ দেখাত না।

Advertisement

মোদী সরকার এ বার শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে জল সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা দূষিত জল পরিশোধনের মতো সামাজিক পরিকাঠামো খাতে আরও বেশি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ তৈরি করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে আজ এই সব প্রকল্পে আরও বেশি টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, এ জন্য ২০২৪-২৫ পর্যন্ত ৮,১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতাল, স্কুল থেকে জল সরবরাহের মতো প্রকল্প চালানোর দায়ও কি সরকার আস্তে আস্তে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে? কারণ সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানবন্দর, নৌবন্দরের মতো প্রকল্পে কাজ শুরু করে ক্রমশ সেখান থেকে সরে এসেছে কেন্দ্র। পুরোটাই গিয়েছে বেসরকারি হাতে।

Advertisement

আরও পডুন: আলিগড়ের উপাচার্য টিকার স্বেচ্ছাসেবক

এত দিন কোনও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ (পিপিপি)-তে তৈরি পরিকাঠামো প্রকল্পকে লাভজনক করে তুলতে কেন্দ্র মোট খরচের ২০ শতাংশ বহন করত। আরও ২০ শতাংশ দিত রাজ্য বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। বেসরকারি সংস্থাকে বাকি ৬০ শতাংশ দিতে হত। ঠিক হয়েছে, সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কেন্দ্র ৩০ শতাংশ দেবে। রাজ্য বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক আরও ৩০% ঢালার পরে বেসরকারি সংস্থাকে ৪০ শতাংশ খরচ বহন করতে হবে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যে সব প্রকল্পে অন্তত ৫০% খরচ তুলে ফেলা যাবে, সেখানে কেন্দ্র-রাজ্য মিলে মূলধনী খরচের ৮০% পর্যন্ত দেবে। প্রথম পাঁচ বছরে প্রকল্প চালানোর ৫০% খরচ সরকার দেবে। সরকারের যুক্তি, এর ফলে অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলিতেই উন্নত মানের হাসপাতাল-স্কুল-কলেজ গড়ে উঠবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement